গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও পল্টন মোড় অবরোধ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শেষে তারা সড়ক অবরোধ করে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলার পর তা প্রত্যাহার করা হয়।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, নুরুল হক নুরের ওপর হামলা শুধু তার ওপর নয়, বরং এটি গণঅভ্যুত্থানের ওপর হামলা। এর দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের দল নয়, এরা ভারতের দল। আপার মতো জাপাকেও (জাতীয় পার্টি) ভারতে পাঠাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুরা গ্রেফতার হলে জিএম কাদের কেন গ্রেফতার হয় না? কারা কাদেরকে আশ্রয় দিচ্ছে? আওয়ামী লীগ যেমন ফ্যাসিস্ট হিসেবে নিষিদ্ধ হয়েছে, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।
রাশেদ খান জানান, পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় শাহবাগে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য-এর ব্যানারে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, “আমরা ঐক্যবদ্ধ না হলে আওয়ামী লীগ আবারও ফিরে আসবে। সেনা ও পুলিশের একটি অংশ হামলা চালিয়ে সুযোগ নিচ্ছে। সরকার এর দায় এড়াতে পারবে না। শুধু সহানুভূতি দেখিয়ে মাফ পাওয়া যাবে না, দোষীদের বিচার করতে হবে।
তিনি অবরোধের কারণে জনদুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ঠান্ডা কথা সরকারের কানে ঢোকে না, তাই বাধ্য হয়েই সড়ক অবরোধ করতে হয়েছে।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুজ জাহেরের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন—দলটির মুখপাত্র ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হাসান আল আল মামুন, আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, মাহফুজুর রহমান খান, রবিউল হাসান, ঈসমাইল আহমেদ, তোফাজ্জল, মিজানুর রহমান, নুরুল করিম শাকিল, মনজুর মোর্শেদ মামুন, আব্দুর রহমান ও নেওয়াজ খান বাপ্পি প্রমুখ।