বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, ৩০ বছর পর মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে চীনের সাংহাই বা সিঙ্গাপুরের বন্দরের মতো উন্নতমানের বন্দর তথা বাণিজ্যিক হাবে রূপান্তরিত করা হবে। এ সময়ের মধ্যে এখানে ২৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, আগামী ১২০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এমআইডিএ) ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৩ হাজার একর আয়তনের জমিতে তিনটি ধাপে (২০২৫ থেকে ২০৩০, ২০৩০ থেকে ২০৪৫ ও ২০৪৫ থেকে ২০৫৫) এর কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় দেড় লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিডা চেয়ারম্যান। এ লক্ষ্যে মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
মহেশখালী ও মাতারবাড়ি নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানিয়ে আশিক চৌধুরী বলেন, আমরা এটাকে টাউনশিপ হিসেবে দেখতে চাই। পৃথিবীর সবচেয়ে সফল ডিপ সি পোর্টস সহ টাউনশিপ হচ্ছে সিঙ্গাপুর এবং আরেকটি পোর্টের কথা প্রায়ই উঠে আসে সেটা হচ্ছে সাংহাই। আমরা বাংলাদেশের একটি সিঙ্গাপুর করতে চাই বা বাংলাদেশের ভিতরে একটি সাংহাই পোর্ট করতে চাই।
প্রকল্পের পরিকল্পনা ৩০ বছরের জন্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ৩০ বছর পরে আমরা এ মহেশখালী-মাতারবাড়ী এলাকাটাকে সিঙ্গাপুর বা সাংহাইয়ের মতো করে দেখতে চাই। এটা কোনো নৌযানের শহর না, এটা একটা স্যাটেলাইট শহর না। এটা হবে শহরতলি, চট্টগ্রামের মতো আরেকটি বাড়তি শহর। যেটা সংস্কারকৃত এবং নতুন ধরনের।
মাতারবাড়ি শহর হলে দেশের অর্থনীতির জিডিপিতে প্রায় দেড়শ বিলিয়ন ডলার যুক্ত হবে বলে উল্লেখ করেন আশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রায় দেড়শ বিলিয়ন ডলারের মতো আমরা জিডিপিতে অবদান রাখবো এই এলাকা থেকে। এটা হবে বাণিজ্যিক হাব। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রিজার্ভে যা সঞ্চিত হবে।