রাজধানীর আদাবরের সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে ঘটে যাওয়া এই হামলায় গুরুতর আহত হন আল-আমিন নামের এক পুলিশ সদস্য, যিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম মেহেদী হাসান। তিনি জানান, অভিযুক্তদের ধরতে আদাবরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে এবং অভিযুক্ত কয়েকজনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, সোমবার রাতে পুলিশের একটি দল সুনিবিড় হাউজিং এলাকার একটি গ্যারেজে অভিযান চালাতে গেলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় কিশোর গ্যাং “কবজি কাটা” গ্রুপের পরিচিত মুখ জনি ও রনি পুলিশের ওপর অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের সঙ্গে আরও ছিল—নাজির, ওসমান, দাঁতভাঙ্গা সুজন, কবজি কাটা হৃদয় এবং গাঁজা ব্যবসায়ী রাজু। এই হামলায় পুলিশ সদস্য আল-আমিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয়াবহভাবে কুপিয়ে জখম করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকায় “কবজি কাটা” নামে এক কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। তাদের মূল নেতা আনোয়ার বর্তমানে কারাগারে থাকলেও জনি ও রনি নামের দুজন তার হয়ে এলাকায় নিয়ন্ত্রণ চালিয়ে যাচ্ছে। আদাবর-১০ এর বালুর মাঠে তারা নিয়মিত আড্ডা দিয়ে গ্যাং পরিচালনা করে।
এদের বিরুদ্ধে একাধিকবার হত্যাসহ নানা অপরাধের অভিযোগ থাকলেও, গ্রেফতারের পর সহজেই জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও একই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানের মাধ্যমে এই গ্যাং সদস্যদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনা হবে।