3:28 pm, Tuesday, 2 September 2025

নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে পুরো একটি গ্রাম, সুদানে ভূমিধসে মৃত্যু ১ হাজারের বেশি

নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে পুরো একটি গ্রাম, সুদানে ভূমিধসে মৃত্যু ১ হাজারের বেশি। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

সুদানের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত দারফুরের মাররা পর্বতমালার তারাসিন গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণের পর গত ৩১ আগস্ট (রবিবার) এই পাহাড়ি অঞ্চলে বিশাল ভূমিধস হয়, যাতে পুরো গ্রামটি মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়।

স্থানীয় সময় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, দুর্ঘটনায় গ্রামটির সব বাসিন্দা – অর্থাৎ এক হাজারেরও বেশি মানুষ – প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুরাও রয়েছে। কেবল একজন ব্যক্তি এই ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে জীবিত বের হতে পেরেছেন বলে জানা গেছে।

দারফুর অঞ্চলের এই গ্রামটি বর্তমানে একটি সশস্ত্র গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা জানিয়েছে, ঘটনাস্থল এতটাই দুর্গম যে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা অত্যন্ত কঠিন। মরদেহ উদ্ধারের জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর কাছে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, সুদানে সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে বহু মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এই পাহাড়ি অঞ্চলে এসেছিলেন। কিন্তু সেই নিরাপদ আশ্রয়ই শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠল তাদের জন্য মরণফাঁদ।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

পাবনায় ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে পুরো একটি গ্রাম, সুদানে ভূমিধসে মৃত্যু ১ হাজারের বেশি

Update Time : 09:51:18 am, Tuesday, 2 September 2025

সুদানের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত দারফুরের মাররা পর্বতমালার তারাসিন গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণের পর গত ৩১ আগস্ট (রবিবার) এই পাহাড়ি অঞ্চলে বিশাল ভূমিধস হয়, যাতে পুরো গ্রামটি মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়।

স্থানীয় সময় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, দুর্ঘটনায় গ্রামটির সব বাসিন্দা – অর্থাৎ এক হাজারেরও বেশি মানুষ – প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুরাও রয়েছে। কেবল একজন ব্যক্তি এই ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে জীবিত বের হতে পেরেছেন বলে জানা গেছে।

দারফুর অঞ্চলের এই গ্রামটি বর্তমানে একটি সশস্ত্র গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা জানিয়েছে, ঘটনাস্থল এতটাই দুর্গম যে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা অত্যন্ত কঠিন। মরদেহ উদ্ধারের জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর কাছে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, সুদানে সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে বহু মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এই পাহাড়ি অঞ্চলে এসেছিলেন। কিন্তু সেই নিরাপদ আশ্রয়ই শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠল তাদের জন্য মরণফাঁদ।