আজ ১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তার ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে। ১৯৭৮ সালের এই দিনে রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ঢাকার রমনা রেস্তোরাঁয় আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। এরপর দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে দলটি যেমন চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে, তেমনি বহু বছর কাটিয়েছে রাজপথে আন্দোলনে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছয় দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজকের দিনে দলীয় কার্যালয়গুলোতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, নয়াপল্টন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, জেলা ও মহানগরে আলোচনা সভা, বৃক্ষরোপণ, মৎস্য অবমুক্তকরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও গোলটেবিল আলোচনা সব মিলিয়ে ব্যাপক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। দলটি বিশেষ ক্রোড়পত্র ও পোস্টারও প্রকাশ করেছে।
এ উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, “জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনা, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই এখন বিএনপির মূল লক্ষ্য।” তিনি নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তারেক রহমান আরও বলেন, “মহান স্বাধীনতার ঘোষক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী আদর্শে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতেই ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। এ দিনটি শুধু দলের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্যও প্রেরণার। বিএনপি আজও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।”
দলের ইতিহাসে ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া নেতৃত্বে আসেন এবং এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সফল হয়ে ১৯৯১ সালে সরকার গঠন করেন। এরপর ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালেও ক্ষমতায় আসে বিএনপি। বর্তমানে তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং দলকে নতুনভাবে সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ৪৮ বছরে পা দেওয়া বিএনপির সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো- জনআকাঙ্ক্ষাকে বুঝে তার প্রতিফলন ঘটানো এবং গণমানুষের রাজনৈতিক প্রত্যাশার সঙ্গে নিজেকে আরও কার্যকরভাবে যুক্ত করা।