4:03 pm, Thursday, 28 August 2025

পটুয়াখালীতে কিশোরী উর্মী হত্যা: বাবা-মা ও ভগ্নিপতির স্বীকারোক্তি

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় উর্মী ইসলাম (১৫) নামে এক কিশোরী হত্যার চাঞ্চল্যকর রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। হত্যায় জড়িত ছিলেন উর্মীর নিজের বাবা-মা এবং ভগ্নিপতি।

ঘটনাটি ঘটে ২৩ আগস্ট সকালে। উপজেলার কুম্ভখালী গ্রামে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে খাল থেকে উর্মীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন তার বাবা নজরুল ইসলাম।

তদন্তে নামে পুলিশের একাধিক টিম। তদন্তে উঠে আসে, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল উর্মীর। এ নিয়ে ২২ আগস্ট রাতে বাবা নজরুল ইসলাম (৪৫), মা আমেনা বেগম (৪০) ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেনের (৩২) সঙ্গে তীব্র বাগবিতণ্ডা হয় তার।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনজনই। তারা জানান, পারিবারিক কলঙ্কের ভয়ে উর্মীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ গোপন করতে কুম্ভখালী খালে ফেলে দেওয়া হয়।

বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বুধবার (২৭ আগস্ট) থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার, ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলামসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা।

Tag :

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

পটুয়াখালীতে কিশোরী উর্মী হত্যা: বাবা-মা ও ভগ্নিপতির স্বীকারোক্তি

Update Time : 09:47:16 am, Thursday, 28 August 2025

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় উর্মী ইসলাম (১৫) নামে এক কিশোরী হত্যার চাঞ্চল্যকর রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। হত্যায় জড়িত ছিলেন উর্মীর নিজের বাবা-মা এবং ভগ্নিপতি।

ঘটনাটি ঘটে ২৩ আগস্ট সকালে। উপজেলার কুম্ভখালী গ্রামে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে খাল থেকে উর্মীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন তার বাবা নজরুল ইসলাম।

তদন্তে নামে পুলিশের একাধিক টিম। তদন্তে উঠে আসে, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল উর্মীর। এ নিয়ে ২২ আগস্ট রাতে বাবা নজরুল ইসলাম (৪৫), মা আমেনা বেগম (৪০) ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেনের (৩২) সঙ্গে তীব্র বাগবিতণ্ডা হয় তার।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনজনই। তারা জানান, পারিবারিক কলঙ্কের ভয়ে উর্মীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ গোপন করতে কুম্ভখালী খালে ফেলে দেওয়া হয়।

বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বুধবার (২৭ আগস্ট) থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার, ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলামসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা।