10:31 pm, Thursday, 28 August 2025

‘কুত্তার মতো পেটায়, এজন্য কি যুদ্ধ করেছিলাম’

‘কুত্তার মতো পেটায়, এজন্য কি যুদ্ধ করেছিলাম’। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের কাছে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রিমান্ড আদেশের পর আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে রিয়াদ বলেন, “আমরা যদি অপরাধ করে থাকি, তাহলে বাদীদের সামনে হাজির করা হোক। তারা বলুক, আমি টাকা চেয়েছি। আমাদের কুকুরের মতো পেটানো হয়েছে। এ দেশের জন্য যুদ্ধ করা কি আমাদের অপরাধ?”

তিনি অভিযোগ করেন, আন্দোলনের কারণে একের পর এক মিথ্যা মামলায় তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

১ আগস্ট এমপি আবুল কালাম আজাদের শ্যালক সাইফুল ইসলাম তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৬ জুন রিয়াদ ও অন্যান্য আসামিরা তার গার্মেন্টস অফিসে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।

তিনি রাজি না হলে, তাকে শেখ হাসিনার ‘দোসর’ বলে সেনাবাহিনী দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন এবং ১১টি চেকে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।

এর আগে আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় রিয়াদ কারাগারে ছিলেন। ওই মামলায় সাবেক আরেক এমপির বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামছুদ্দোহা সুমন বলেন, “আইনের কাছে সবাই সমান। চাঁদাবাজদের বিচার হবে, তারা ছাত্র হোক বা রাজনীতিক।”

রাষ্ট্রপক্ষ সাত দিনের রিমান্ড চাইলেও আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিয়াদ ও ইব্রাহিম হোসেনের পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি হলেও, অপর দুই আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

‘কুত্তার মতো পেটায়, এজন্য কি যুদ্ধ করেছিলাম’

Update Time : 09:27:49 am, Thursday, 28 August 2025

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের কাছে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবির মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রিমান্ড আদেশের পর আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে রিয়াদ বলেন, “আমরা যদি অপরাধ করে থাকি, তাহলে বাদীদের সামনে হাজির করা হোক। তারা বলুক, আমি টাকা চেয়েছি। আমাদের কুকুরের মতো পেটানো হয়েছে। এ দেশের জন্য যুদ্ধ করা কি আমাদের অপরাধ?”

তিনি অভিযোগ করেন, আন্দোলনের কারণে একের পর এক মিথ্যা মামলায় তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

১ আগস্ট এমপি আবুল কালাম আজাদের শ্যালক সাইফুল ইসলাম তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৬ জুন রিয়াদ ও অন্যান্য আসামিরা তার গার্মেন্টস অফিসে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।

তিনি রাজি না হলে, তাকে শেখ হাসিনার ‘দোসর’ বলে সেনাবাহিনী দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন এবং ১১টি চেকে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।

এর আগে আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় রিয়াদ কারাগারে ছিলেন। ওই মামলায় সাবেক আরেক এমপির বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামছুদ্দোহা সুমন বলেন, “আইনের কাছে সবাই সমান। চাঁদাবাজদের বিচার হবে, তারা ছাত্র হোক বা রাজনীতিক।”

রাষ্ট্রপক্ষ সাত দিনের রিমান্ড চাইলেও আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিয়াদ ও ইব্রাহিম হোসেনের পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি হলেও, অপর দুই আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।