ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক আক্রমণ থেকে বিরত থাকার নিশ্চয়তা দেয়, তবে ইরান পুনরায় পারমাণবিক আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।
বুধবার (২৭ আগস্ট) মেহর নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরাগচি জেদ্দায় ইসলামিক কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (ওআইসি)-এর বিশেষ বৈঠকে এই মন্তব্য করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সামরিক হামলা কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে, এবং আলোচনার মাধ্যমে এটি সফল করা সম্ভব নয়।
আরাগচি আরও জানান, ইসরাইলের সঙ্গে নতুন কোনো সংঘাতের সম্ভাবনা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, সব কিছুই সম্ভব, এবং তেহরান সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।
ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক সম্পর্কে তিনি জানান, সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্ক অভূতপূর্ব সহযোগিতার পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি সৌদি আরবকে আঞ্চলিক ও ইসলামী শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।
হিজবুল্লাহর অস্ত্র ইস্যুতে আরাগচি বলেন, এটি সম্পূর্ণরূপে লেবানন ও হিজবুল্লাহর দায়িত্ব, আর ইসরাইলকে তা মোকাবিলা করতে হবে।
পারমাণবিক আলোচনা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, ইরান ‘ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ’ আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত না করলে যে আলোচনার সময় সামরিক হামলা হবে না, সরাসরি আলোচনায় অংশ নেওয়া হবে না।
ইরান যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত, এবং সাম্প্রতিক সংঘাত প্রমাণ করেছে যে সামরিক পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে। আরাগচি উল্লেখ করেন, “যদি আবার চেষ্টা করা হয়, তারা আরও শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় সংঘটিত ঘটনা ইসরাইলকে প্রধান হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পাশাপাশি ইরান প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সঙ্গে আস্থা ও সহযোগিতা গড়ে তুলছে, বিশেষ করে সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের লক্ষ্যে।