ইউক্রেনের দনিপ্রোপেত্রভস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ঢুকে পড়েছে। তবে ইউক্রেনীয় সেনারা জানিয়েছে, রুশ সেনাদের অগ্রযাত্রা সীমিত এবং তারা স্থানীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
দনিপ্রোর অপারেশনাল-স্ট্র্যাটেজিক গ্রুপ অব ট্রুপসের কর্মকর্তা ভিক্টর ত্রেহুবভ জানিয়েছেন, “দনিপ্রোপেত্রভস্কে এটাই প্রথম বড় ধরনের হামলা।” তবে তিনি রুশ অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
গত গ্রীষ্ম থেকে রাশিয়া দাবি করে আসছে যে, তাদের সেনারা দনিপ্রোপেত্রভস্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তারা দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে আরও গভীরে ঢোকার চেষ্টা করছে। তবে ইউক্রেনীয় সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সীমান্ত অতিক্রম করাটাই তাদের সীমাবদ্ধতা।
দনিপ্রোপেত্রভস্কের এই অগ্রগতি ইউক্রেনের জন্য বড় মানসিক আঘাত হতে পারে, বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন শান্তি প্রচেষ্টা ধীরগতিতে চলছে। তবে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা ধীর এবং প্রচুর হতাহতের মুখে পড়ছে।
রাশিয়া দনিপ্রোপেত্রভস্ককে অন্য পূর্ব ইউক্রেনের মতো নিজেদের দাবি করেনি, কিন্তু রাজধানী দনিপ্রো ও এর গুরুত্বপূর্ণ শহরে একাধিকবার আক্রমণ চালিয়েছে। যুদ্ধে স্থানীয় রুখে দেওয়ার কারণে কিছু অগ্রগতি অর্জন করা হলেও সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, রুশ বাহিনী দোব্রোপিলিয়ার কাছে ১০ কিলোমিটার অগ্রগতি অর্জন করলেও পরে থেমে গেছে।
কিয়েভের প্রেসিডেন্ট অফিসের উপপ্রধান কর্নেল পাভলো পালিসা জানিয়েছেন, ক্রেমলিন দনিপ্রো নদীর পূর্বের পুরো অঞ্চল দখল করতে চায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া কালাসও সতর্ক করেছেন যে, রাশিয়ার এই অগ্রগতি শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে।