চিয়া সিড এখন ‘সুপারফুড’ হিসেবে পরিচিত। ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই বীজের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। নিয়মিত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ, ত্বক ও চুলের যত্ন, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং হজমে সহায়তা পাওয়া যায়।
তবে সব খাবারের মতোই চিয়া সিড সবার জন্য উপকারী নয়। বিশেষ কিছু মানুষের জন্য এটি বিপজ্জনক হতে পারে। অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা, রক্তে চিনির মাত্রা কমে যাওয়া বা এলার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নিচে চিয়া সিড খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা চার ধরনের মানুষকে তুলে ধরা হলো—
১. হজম সমস্যা থাকা ব্যক্তিরা
আইবিএস বা দীর্ঘমেয়াদি অন্ত্রসংক্রান্ত সমস্যায় ভুগলে চিয়া সিড খেলে পেট ব্যথা, ফোলাভাব, ডায়রিয়া বা ক্র্যাম্প হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, চিয়া সিড ভিজিয়ে এবং পরিমাণমতো খাওয়ার মাধ্যমে হজম সমস্যা কমানো যায়।
২. ডায়াবেটিস রোগী ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রক ওষুধে থাকা ব্যক্তি
চিয়া সিড রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে অতিরিক্ত সেবনে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি থাকে। ডায়াবেটিস বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ওষুধ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চিয়া সিড নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রক ওষুধে থাকা ব্যক্তি
চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্ত পাতলা করে। অতিরিক্ত খেলে রক্তচাপ কমে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা বা বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে। তাই যারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধে আছেন, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চিয়া সিড খাওয়া শুরু করবেন না।
৪. এলার্জি প্রবণ ব্যক্তি
কিছু মানুষের জন্য চিয়া সিড অ্যালার্জির উৎস হতে পারে। এতে চুলকানি, র্যাশ, লালচে দাগ, বমি বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। প্রথমবার খাওয়ার আগে অল্প পরিমাণে পরীক্ষা করা উচিত এবং প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করতে হবে।
চিয়া সিড সঠিকভাবে খাওয়ার নিয়ম
* পরিমাণমতো খাওয়া: দিনে ১-২ টেবিল চামচ যথেষ্ট।
* ভিজিয়ে খাওয়া:হজম সহজ হয় এবং অন্ত্রের সমস্যা কমে।
* পর্যাপ্ত পানি পান: চিয়া সিড অনেক পানি শোষণ করে।
* চিকিৎসকের পরামর্শ: অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যা, গর্ভাবস্থা বা স্তন্যদান অবস্থায় ডাক্তারকে জানানো জরুরি।