11:18 pm, Monday, 25 August 2025
অমিত শাহের মন্তব্য: প্রধানমন্ত্রীকেও পদত্যাগ করতে হতে পারে, ভারতে রাজনৈতিক অস্থিরতা

‘প্রধানমন্ত্রীকেও পদত্যাগ করতে হতে পারে’ — অমিত শাহের মন্তব্যে ভারতে তীব্র আলোড়ন

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

ভারতে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিরোধীদলগুলো অভিযোগ করেছে, এই বিল গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করবে এবং জনগণের কণ্ঠরোধের পথ প্রশস্ত করবে।

বিল নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্কের মাঝেই নতুন আলোড়ন ছড়িয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যে। সংসদে আলোচনার সময় তিনি বলেন,
**“আইনের শাসন সবার ওপরে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকেও জবাবদিহি করতে হবে, এমনকি পদত্যাগ করতেও হতে পারে।”**

এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

* কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, এটি সংবিধানের ওপর সরাসরি আক্রমণ। আমরা সর্বাত্মক আন্দোলনে নামব।”
* তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, বিলটি জনগণের কণ্ঠরোধের ফাঁদ। সরকার জনসমর্থন হারিয়ে ভয় দেখাচ্ছে।

বিজেপির পক্ষ থেকে অমিত শাহ অবশ্য বিরোধীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে বলেছেন, সাংবিধানিক সীমা ভাঙলে প্রধানমন্ত্রীও রেহাই পাবেন না। আমাদের গণতন্ত্রের শক্তি এটাই।

এই বক্তব্য বিরোধীদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ বলেন, *“অমিত শাহ নিজেই স্বীকার করেছেন, পরিস্থিতি এমন হতে পারে যেখানে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ অনিবার্য হবে।”*

মিডিয়া প্রতিক্রিয়া:

* *টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ প্রসঙ্গ টেনে এনে বিরোধীদের হাতে শক্তি তুলে দিলেন অমিত শাহ।
* *আনন্দবাজার মন্তব্য করেছে, বিতর্ক প্রমাণ করছে, বিজেপির ভেতরেই চাপ বাড়ছে, যা বিরোধীরা কাজে লাগাবে।

এদিকে মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাইসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে ছাত্র, শ্রমিক ইউনিয়ন ও নাগরিক মঞ্চগুলো রাস্তায় নেমেছে। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিক্ষোভ করে বলেছে, সংবিধান রক্ষা করতে না পারলে কোনো সরকার বৈধ নয়।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, রাজনৈতিক এই অস্থিরতা দীর্ঘস্থায়ী হলে বিনিয়োগ ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

 

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

মুন্সীগঞ্জে পুলিশ ক্যাম্পে নৌ-ডাকাতের তাণ্ডব, গোলাগুলি

অমিত শাহের মন্তব্য: প্রধানমন্ত্রীকেও পদত্যাগ করতে হতে পারে, ভারতে রাজনৈতিক অস্থিরতা

‘প্রধানমন্ত্রীকেও পদত্যাগ করতে হতে পারে’ — অমিত শাহের মন্তব্যে ভারতে তীব্র আলোড়ন

Update Time : 08:51:26 pm, Monday, 25 August 2025

ভারতে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিরোধীদলগুলো অভিযোগ করেছে, এই বিল গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করবে এবং জনগণের কণ্ঠরোধের পথ প্রশস্ত করবে।

বিল নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্কের মাঝেই নতুন আলোড়ন ছড়িয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যে। সংসদে আলোচনার সময় তিনি বলেন,
**“আইনের শাসন সবার ওপরে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকেও জবাবদিহি করতে হবে, এমনকি পদত্যাগ করতেও হতে পারে।”**

এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

* কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, এটি সংবিধানের ওপর সরাসরি আক্রমণ। আমরা সর্বাত্মক আন্দোলনে নামব।”
* তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, বিলটি জনগণের কণ্ঠরোধের ফাঁদ। সরকার জনসমর্থন হারিয়ে ভয় দেখাচ্ছে।

বিজেপির পক্ষ থেকে অমিত শাহ অবশ্য বিরোধীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে বলেছেন, সাংবিধানিক সীমা ভাঙলে প্রধানমন্ত্রীও রেহাই পাবেন না। আমাদের গণতন্ত্রের শক্তি এটাই।

এই বক্তব্য বিরোধীদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ বলেন, *“অমিত শাহ নিজেই স্বীকার করেছেন, পরিস্থিতি এমন হতে পারে যেখানে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ অনিবার্য হবে।”*

মিডিয়া প্রতিক্রিয়া:

* *টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ প্রসঙ্গ টেনে এনে বিরোধীদের হাতে শক্তি তুলে দিলেন অমিত শাহ।
* *আনন্দবাজার মন্তব্য করেছে, বিতর্ক প্রমাণ করছে, বিজেপির ভেতরেই চাপ বাড়ছে, যা বিরোধীরা কাজে লাগাবে।

এদিকে মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাইসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে ছাত্র, শ্রমিক ইউনিয়ন ও নাগরিক মঞ্চগুলো রাস্তায় নেমেছে। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিক্ষোভ করে বলেছে, সংবিধান রক্ষা করতে না পারলে কোনো সরকার বৈধ নয়।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, রাজনৈতিক এই অস্থিরতা দীর্ঘস্থায়ী হলে বিনিয়োগ ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।