3:23 am, Tuesday, 26 August 2025

বাংলাদেশের প্রশংসা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

বাংলাদেশের প্রশংসা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

মিয়ানমারের সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিক উদাহরণ তৈরি করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরনের দায়িত্বশীল ভূমিকার জন্য এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকেও সাধুবাদ জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় এক বিবৃতিতে এ প্রশংসা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। বিবৃতিতে বলা হয়, “বার্মার (মিয়ানমার) বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর পাশে যুক্তরাষ্ট্র আছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানাই—দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে তারা যে উদারতা ও মানবিকতা দেখিয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য।”

এছাড়াও বার্মা থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোকেও ধন্যবাদ জানায় ওয়াশিংটন।

এই বিবৃতি এমন এক সময় এসেছে, যখন কক্সবাজারে শুরু হয়েছে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিন দিনব্যাপী ‘স্টেকহোল্ডার সম্মেলন’। সোমবার (২৫ আগস্ট) সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। সম্মেলনে প্রাপ্ত প্রস্তাব ও মতামত আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় রোহিঙ্গা বিষয়ক সম্মেলনে তুলে ধরবে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরু হলে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগেও প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছিল কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে। সব মিলিয়ে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার চুক্তি সই হলেও বারবার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা ভেস্তে গেছে। বাংলাদেশ সরকার বলছে, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক মহল যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় সংকটের সমাধান আটকে আছে।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

মুন্সীগঞ্জে পুলিশ ক্যাম্পে নৌ-ডাকাতের তাণ্ডব, গোলাগুলি

বাংলাদেশের প্রশংসা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

Update Time : 11:15:15 am, Monday, 25 August 2025

মিয়ানমারের সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিক উদাহরণ তৈরি করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরনের দায়িত্বশীল ভূমিকার জন্য এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকেও সাধুবাদ জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় এক বিবৃতিতে এ প্রশংসা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। বিবৃতিতে বলা হয়, “বার্মার (মিয়ানমার) বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর পাশে যুক্তরাষ্ট্র আছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানাই—দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে তারা যে উদারতা ও মানবিকতা দেখিয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য।”

এছাড়াও বার্মা থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোকেও ধন্যবাদ জানায় ওয়াশিংটন।

এই বিবৃতি এমন এক সময় এসেছে, যখন কক্সবাজারে শুরু হয়েছে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিন দিনব্যাপী ‘স্টেকহোল্ডার সম্মেলন’। সোমবার (২৫ আগস্ট) সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। সম্মেলনে প্রাপ্ত প্রস্তাব ও মতামত আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠেয় রোহিঙ্গা বিষয়ক সম্মেলনে তুলে ধরবে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরু হলে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগেও প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছিল কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে। সব মিলিয়ে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার চুক্তি সই হলেও বারবার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা ভেস্তে গেছে। বাংলাদেশ সরকার বলছে, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক মহল যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় সংকটের সমাধান আটকে আছে।