11:33 pm, Sunday, 24 August 2025

‘আমরা চাই একাত্তরের গণহত্যার বিষয়ে পাকিস্তান মাফ চাক’

‘আমরা চাই একাত্তরের গণহত্যার বিষয়ে পাকিস্তান মাফ চাক’। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ওপর চালানো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ কিংবা ক্ষমা চায়নি পাকিস্তান। এই ইস্যুতে আবারও কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ।

রোববার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, “আমরা চাই ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য পাকিস্তান সরকার দুঃখপ্রকাশ করুক, মাফ চাক। আমরা চাই হিসাবপত্র হোক, অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর সমাধান হোক এবং আটকে পড়া মানুষগুলোকে ফেরত নেওয়া হোক।”

এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দাবি করেন, ১৯৭১ সালের বিষয়গুলো ১৯৭৪ ও পরে ২০০২ সালে ‘দুইবার সমাধান’ হয়েছে।

জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমি অবশ্যই একমত না। একমত হলে সমাধান হয়ে যেত—তাদের মতো করে নয়, আমাদের হিসাবেও সমাধান হতো।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা তিনটি বিষয় স্পষ্টভাবে তাদের সামনে তুলে ধরেছি। দুই পক্ষই বুঝেছে, এই অমীমাংসিত বিষয়গুলোকে পিছনে ফেলে একটি যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছাতে হবে। সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এগুলো মসৃণভাবে শেষ করতে হবে।”

তিনি আশাবাদ জানিয়ে বলেন, “আমরা সম্মত হয়েছি ভবিষ্যতে এই ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখব, যেন দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সুষ্ঠু ও সম্মানজনক নিষ্পত্তি সম্ভব হয়।”

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মাথানত করবে না ইরান: খামেনি

‘আমরা চাই একাত্তরের গণহত্যার বিষয়ে পাকিস্তান মাফ চাক’

Update Time : 05:48:30 pm, Sunday, 24 August 2025

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ওপর চালানো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ কিংবা ক্ষমা চায়নি পাকিস্তান। এই ইস্যুতে আবারও কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ।

রোববার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, “আমরা চাই ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য পাকিস্তান সরকার দুঃখপ্রকাশ করুক, মাফ চাক। আমরা চাই হিসাবপত্র হোক, অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর সমাধান হোক এবং আটকে পড়া মানুষগুলোকে ফেরত নেওয়া হোক।”

এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দাবি করেন, ১৯৭১ সালের বিষয়গুলো ১৯৭৪ ও পরে ২০০২ সালে ‘দুইবার সমাধান’ হয়েছে।

জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমি অবশ্যই একমত না। একমত হলে সমাধান হয়ে যেত—তাদের মতো করে নয়, আমাদের হিসাবেও সমাধান হতো।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা তিনটি বিষয় স্পষ্টভাবে তাদের সামনে তুলে ধরেছি। দুই পক্ষই বুঝেছে, এই অমীমাংসিত বিষয়গুলোকে পিছনে ফেলে একটি যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছাতে হবে। সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এগুলো মসৃণভাবে শেষ করতে হবে।”

তিনি আশাবাদ জানিয়ে বলেন, “আমরা সম্মত হয়েছি ভবিষ্যতে এই ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখব, যেন দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সুষ্ঠু ও সম্মানজনক নিষ্পত্তি সম্ভব হয়।”