11:05 pm, Monday, 25 August 2025

‘৫ আগস্ট ঘটানো কালো শক্তির নাম হলো জামায়াতে ইসলাম’

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেছেন, ৫ আগস্ট যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে তার মূল কারিগর হলো কালো শক্তি জামায়াতে ইসলাম।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “সার্জিস আলমরা যাদের দিয়ে অভিনয় করানো হয়েছে, যারা ৫ আগস্টের নাটক মঞ্চস্থ করেছে—আমি তাদের নেতা বলতে চাই না, তারা কেবল অভিনেতা।”

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের টকশোতে অংশ নিয়ে ফজলুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি আরও যোগ করেন, “মানুষ বুঝে গেছে, এরা রাজাকারের সন্তান। তারা অর্থ ও প্রলোভনের মাধ্যমে তরুণ সমাজের একটি অংশকে বিভ্রান্ত করছে। অথচ বিএনপি নির্বাচন হলে দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে ইনশাআল্লাহ ক্ষমতায় আসবে।”

তিনি বলেন, “৫ আগস্ট যারা ঘটনার পেছনে ছিল, সেই কালো শক্তি হলো জামায়াতে ইসলাম। তাদের অগ্রণী শক্তি হিসেবে কাজ করছে ইসলামী ছাত্রশিবির। আজকের দিনে সার্জিস আলমদের মতো লোকেরা যারা এ ঘটনার নাটক সাজিয়েছে, তারা আসলে নাট্যকার ও অভিনেতা ছাড়া কিছু নয়।”

ফজলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “আল বদর, আল শামস ও জামায়াতে ইসলাম—আমরা ভেবেছিলাম ৫৪ বছরে তাদের পূর্বপুরুষের গ্লানি মুছে গেছে। কিন্তু বাস্তবে উল্টো সেই গ্লানি দ্বিগুণ আকারে ফিরে এসেছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা দেশে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। তাদের পেছনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত কাজ করছে। অর্থ, সম্পদ, প্রভাব—সবকিছু ব্যবহার করে তারা তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত করে শক্তি সংগঠিত করছে।”

তিনি দাবি করেন, প্রশাসনের সর্বস্তরে জামায়াত তাদের প্রভাব বিস্তার করেছে। “এখন সারা বাংলাদেশে এসিল্যান্ড থেকে শুরু করে ইউএনও, ওসি, এসপি, ডিসি, এমনকি সচিব পর্যায় পর্যন্ত প্রশাসন তারা দখল করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যাংক, বীমা কোম্পানি, শেয়ার মার্কেট, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ—সবখানেই তাদের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা এখন মনে করছে, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতায় না গেলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে তারা ক্ষমতা ভোগ করছে।”

তিনি আরও বলেন, “কিন্তু নির্বাচনের মাঠে তাদের প্রকৃত অবস্থা পরিষ্কার। একসময় তাদের ভোট ছিল মাত্র ৭ শতাংশ, এখন তা আরও কমে ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। তাই জনগণ বুঝে গেছে—এরা আসলে রাজাকারের উত্তরসূরি। তারা ৫৪ বছর পরেও সেই কুকীর্তি ভুলে যায়নি, বরং প্রতিশোধের জন্য ছটফট করছে। এজন্যই তারা সুষ্ঠু নির্বাচনে যেতে চায় না। তারা কেবল বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, কারণ বিএনপি এখনো তাদের সামনে পাহাড়ের মতো শক্তি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।”

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

তৌহিদ আফ্রিদি কিডনি ও ক্যানসারে আক্রান্ত, রিমান্ডে

‘৫ আগস্ট ঘটানো কালো শক্তির নাম হলো জামায়াতে ইসলাম’

Update Time : 03:53:14 pm, Sunday, 24 August 2025

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেছেন, ৫ আগস্ট যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে তার মূল কারিগর হলো কালো শক্তি জামায়াতে ইসলাম।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “সার্জিস আলমরা যাদের দিয়ে অভিনয় করানো হয়েছে, যারা ৫ আগস্টের নাটক মঞ্চস্থ করেছে—আমি তাদের নেতা বলতে চাই না, তারা কেবল অভিনেতা।”

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের টকশোতে অংশ নিয়ে ফজলুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি আরও যোগ করেন, “মানুষ বুঝে গেছে, এরা রাজাকারের সন্তান। তারা অর্থ ও প্রলোভনের মাধ্যমে তরুণ সমাজের একটি অংশকে বিভ্রান্ত করছে। অথচ বিএনপি নির্বাচন হলে দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে ইনশাআল্লাহ ক্ষমতায় আসবে।”

তিনি বলেন, “৫ আগস্ট যারা ঘটনার পেছনে ছিল, সেই কালো শক্তি হলো জামায়াতে ইসলাম। তাদের অগ্রণী শক্তি হিসেবে কাজ করছে ইসলামী ছাত্রশিবির। আজকের দিনে সার্জিস আলমদের মতো লোকেরা যারা এ ঘটনার নাটক সাজিয়েছে, তারা আসলে নাট্যকার ও অভিনেতা ছাড়া কিছু নয়।”

ফজলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “আল বদর, আল শামস ও জামায়াতে ইসলাম—আমরা ভেবেছিলাম ৫৪ বছরে তাদের পূর্বপুরুষের গ্লানি মুছে গেছে। কিন্তু বাস্তবে উল্টো সেই গ্লানি দ্বিগুণ আকারে ফিরে এসেছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা দেশে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। তাদের পেছনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত কাজ করছে। অর্থ, সম্পদ, প্রভাব—সবকিছু ব্যবহার করে তারা তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত করে শক্তি সংগঠিত করছে।”

তিনি দাবি করেন, প্রশাসনের সর্বস্তরে জামায়াত তাদের প্রভাব বিস্তার করেছে। “এখন সারা বাংলাদেশে এসিল্যান্ড থেকে শুরু করে ইউএনও, ওসি, এসপি, ডিসি, এমনকি সচিব পর্যায় পর্যন্ত প্রশাসন তারা দখল করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যাংক, বীমা কোম্পানি, শেয়ার মার্কেট, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ—সবখানেই তাদের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা এখন মনে করছে, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতায় না গেলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে তারা ক্ষমতা ভোগ করছে।”

তিনি আরও বলেন, “কিন্তু নির্বাচনের মাঠে তাদের প্রকৃত অবস্থা পরিষ্কার। একসময় তাদের ভোট ছিল মাত্র ৭ শতাংশ, এখন তা আরও কমে ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। তাই জনগণ বুঝে গেছে—এরা আসলে রাজাকারের উত্তরসূরি। তারা ৫৪ বছর পরেও সেই কুকীর্তি ভুলে যায়নি, বরং প্রতিশোধের জন্য ছটফট করছে। এজন্যই তারা সুষ্ঠু নির্বাচনে যেতে চায় না। তারা কেবল বিএনপিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, কারণ বিএনপি এখনো তাদের সামনে পাহাড়ের মতো শক্তি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।”