রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান টানতে শান্তি চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর অংশ হিসেবে তিনি গত শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর সোমবার ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসেন ট্রাম্প। এ বৈঠকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালিসহ বেশ কয়েকটি দেশের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আলাস্কার বৈঠকে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে এর আওতায় ইউক্রেনে কোনো মার্কিন সেনা পাঠানো হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেব, কিন্তু মার্কিন সেনারা ইউক্রেনে যাবে না।”
ট্রাম্প আরও মন্তব্য করেন, পুতিন চুক্তিতে রাজি না হলে তার জন্য পরিস্থিতি ‘খুব কঠিন’ করে তোলা হবে। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, রুশ প্রেসিডেন্ট হয়তো সহজে শান্তি চুক্তিতে সম্মত নাও হতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মতে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে ইউক্রেনের নিরাপত্তায় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ ইউরোপের কিছু দেশ সেনা পাঠাতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইউক্রেন কোনো অবস্থাতেই সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না।
ট্রাম্পের ভাষায়, “আমরা চাই না আমাদের সীমান্তে বিরোধী দেশ অবস্থান করুক। একইভাবে রাশিয়াও চায় না তাদের সীমান্তে বিদেশি সেনারা থাকুক। এ বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান যৌক্তিক।”
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, শান্তি চুক্তি হলে ইউক্রেনে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হবে এবং দেশটি রাশিয়ার কাছ থেকে কিছু ভূখণ্ড ফিরে পাবে। তবে কোন ভূখণ্ডের কথা তিনি উল্লেখ করছেন, তা স্পষ্ট করেননি।