রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ জোগানের অভিযোগে এবার ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো জানিয়েছেন, রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের অন্যতম প্রধান ক্রেতা হিসেবে ভারত পরোক্ষভাবে মস্কোর যুদ্ধ তহবিলকে সমর্থন করছে।
সোমবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে নাভারো দাবি করেন, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারত একধরনের “বিশ্বব্যাপী ক্লিয়ারিং হাউস” হিসেবে কাজ করছে। তার ভাষায়, ভারত রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কিনে তা পরিশোধিত করে উচ্চমূল্যে বিশ্ববাজারে বিক্রি করছে, ফলে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মস্কো ডলার অর্জনে সক্ষম হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের এই ভূমিকা কেবল সুবিধাবাদী নয়, বরং তা বিশ্বের পক্ষ থেকে পুতিনের যুদ্ধ অর্থনীতিকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টার পরিপন্থী। বর্তমানে চীনের পর ভারতই রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল ক্রেতা, যেখানে দেশটির ৩০ শতাংশেরও বেশি জ্বালানি রাশিয়া থেকে আসে।
এই পরিস্থিতিতে চাপ তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্র একাধিক শাস্তিমূলক অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে। চলতি আগস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন, যা পূর্বের শুল্কসহ মোট ৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক চাপের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, কৃষকদের স্বার্থে যেকোনো বিদেশি চাপের বিরুদ্ধেই ভারত দৃঢ় অবস্থান নেবে।
এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। সম্প্রতি পুতিন-মোদি ফোনালাপে ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ উঠে আসে। ফোনালাপে মোদি ভারতের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং পরে ফেসবুক পোস্টে পুতিনকে ধন্যবাদও জানান।