সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট এলাকায় পাথর লুটপাটের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যে এবার আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো। সংস্থার মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব কোম্পানীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী সময় পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথর ও গোয়াইনঘাটের জাফলং এলাকার গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারিগুলো থেকে সংঘবদ্ধ চক্র কোটি কোটি টাকার পাথর লুট করেছে। ঘটনাটি জাতীয় গণমাধ্যমেও ফলাও করে প্রচারিত হয়। তবে এখনো পর্যন্ত লুটে জড়িতদের সুনির্দিষ্ট পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
পাথর লুটের ঘটনায় হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করে অবৈধভাবে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে এবং লুটকারীদের তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই নির্দেশনার পর সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় র্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান শুরু করে।
গত তিন দিনের অভিযানে সাদা পাথর ও জাফলং এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার ঘনফুট পাথর। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকেই বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হয়েছে ৪০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পাথর।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, পাথর লুটে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।