একটি পক্ষের হুমকিকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, “ধমক দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না। এটি স্বৈরাচারী মানসিকতারই প্রকাশ।”
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর নবনির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বারবার ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কথা বলছেন। অথচ একই সরকারের একটি অংশ ভোট হতে না দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এতে প্রমাণ হয়—সরকারের ভেতরে দ্বৈত মতামত এবং গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির প্রভাব বিদ্যমান।”
সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় বলেই একটি মহল পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চায়। কিন্তু জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার কেবল ভোটারদের হাতেই থাকা উচিত।”
২৪-এর আন্দোলনে যারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন। কোনো প্রকার চাপ, হুমকি বা অপচেষ্টা যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে না পারে।”
এর আগে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একটি যুব সম্মেলনে বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু নির্বাচন হবে না। সরকারকে আগে শহীদদের জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে, সংস্কার ও নতুন সংবিধান দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “একই ব্যবস্থায় আবারও নির্বাচন হলে শহীদ হওয়া মানুষের ত্যাগ অর্থহীন হয়ে যাবে।”