4:20 pm, Wednesday, 13 August 2025

নাফ নদী থেকে ৫ বাংলাদেশি জেলেকে তুলে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

  • Akram
  • Update Time : 12:03:21 pm, Wednesday, 13 August 2025
  • 13

নাফ নদী থেকে ৫ বাংলাদেশি জেলেকে তুলে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি। ছবি: সংগৃহীত

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। সর্বশেষ ঘটনায় নাফ নদীর জলসীমা থেকে একটি নৌকাসহ পাঁচ বাংলাদেশি জেলেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে গেছে এই সশস্ত্র সংগঠন।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন।

নিরুদ্দেশ হওয়া জেলেরা হলেন—মো. ইলিয়াস, তার দুই ছেলে আক্কল আলী ও নুর হোসেন, এবং একই গ্রামের সাবের হোসেন ও সাইফুল ইসলাম। সবাই টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

ইউএনও জানান, বঙ্গোপসাগরের মোহনা সংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় মাছ ধরার সময় হঠাৎ স্পিডবোটে করে এসে আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের তুলে নিয়ে যায়। এ সময় অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তাদের জিম্মা করা হয়। এখনও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তথ্যমতে, চলতি বছরজুড়ে মিয়ানমারের সঙ্গে লাগোয়া সীমান্ত এলাকায় আরাকান আর্মির অপহরণ বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। গত ৮ মাসে এ গোষ্ঠী অন্তত ২৫১ জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে। এর মধ্যে ১৭৬ জনকে অপহরণ করা হয় শুধু জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের মধ্যে। তবে বিজিবির কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও টহল জোরদারের মাধ্যমে এদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।

Write Your Comment

About Author Information

Akram

নাফ নদী থেকে ৫ বাংলাদেশি জেলেকে তুলে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

Update Time : 12:03:21 pm, Wednesday, 13 August 2025

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। সর্বশেষ ঘটনায় নাফ নদীর জলসীমা থেকে একটি নৌকাসহ পাঁচ বাংলাদেশি জেলেকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে গেছে এই সশস্ত্র সংগঠন।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন।

নিরুদ্দেশ হওয়া জেলেরা হলেন—মো. ইলিয়াস, তার দুই ছেলে আক্কল আলী ও নুর হোসেন, এবং একই গ্রামের সাবের হোসেন ও সাইফুল ইসলাম। সবাই টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

ইউএনও জানান, বঙ্গোপসাগরের মোহনা সংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় মাছ ধরার সময় হঠাৎ স্পিডবোটে করে এসে আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের তুলে নিয়ে যায়। এ সময় অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে তাদের জিম্মা করা হয়। এখনও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তথ্যমতে, চলতি বছরজুড়ে মিয়ানমারের সঙ্গে লাগোয়া সীমান্ত এলাকায় আরাকান আর্মির অপহরণ বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। গত ৮ মাসে এ গোষ্ঠী অন্তত ২৫১ জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে। এর মধ্যে ১৭৬ জনকে অপহরণ করা হয় শুধু জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের মধ্যে। তবে বিজিবির কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও টহল জোরদারের মাধ্যমে এদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।