আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক দুলাল ডাক্তারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, হত্যাচেষ্টা, লুটপাট ও অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৮ জুলাই ২০২৫) আশুলিয়া থানায় এই মামলা দায়ের করেন কানাডা প্রবাসী মিসেস মরিয়ম ইয়াসমিন। মামলা নম্বর: ৫১।
প্রবাসী মরিয়ম ইয়াসমিনের অভিযোগ, আশুলিয়া থানাধীন দক্ষিণ গাজীর চট এলাকায় তার বাসভবনে একাধিকবার দুলালের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়েছে। মামলায় বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে আসাদুল হক দুলাল তার রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছেন। তিনি একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী ও দখলবাজ চক্র পরিচালনা করেন, যার মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।
মামলায় বলা হয়, গত এক মাসে তিনবার প্রবাসীর বাড়িতে হামলা হয়েছে। হামলায় ব্যবহার হয়েছে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র। সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
সর্বশেষ ১৬ জুলাই দুলালের নেতৃত্বে বাহিনী বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ব্যাপক বোমাবাজি, গুলি, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়।
মরিয়ম ইয়াসমিনের অভিযোগে আরও বলা হয়, দুলাল নিজেই শুধু নয়, তিনি আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে গড়ে তুলেছেন ভয়ঙ্কর এক সন্ত্রাসী বাহিনী। এর প্রধান আলম নামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী, যার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র ব্যবসা, মাদক পাচার ও বহু ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তার দখলে রয়েছে ৪-৬টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র। দুলালই এই আলমের প্রধান রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক।
মামলায় আরও নাম এসেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী দেলোয়ার, ছোট নূরা, বাবু, ফরিদ, বড় নূরা ও শাহাদাতের। এরা সবাই দুলালের নির্দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত বলে অভিযোগ।
মামলা হলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং আসামিরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে এবং ভুক্তভোগীদের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
একজন ভুক্তভোগী বলেন, “আমরা এখনো আতঙ্কে দিন কাটাই। টাকা না দিলে সন্ত্রাসী পাঠায়। বলে—‘আমি বিএনপির নেতা, কেউ আমার কিছু করতে পারবে না।’ এটা কি রাজনীতি, না অপরাধচক্র?”দেশপ্রেমিক পোশাক
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে অভিযুক্তরা এতদিন ধরেই আইনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে। তারা বলছেন, “চাঁদাবাজি, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যাচেষ্টা—এগুলো গুরুতর অপরাধ। রাজনৈতিক পরিচয়ে কোনো ছাড় দেয়া চলবে না।”
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, “দুলাল ডাক্তার স্থানীয়ভাবে সন্ত্রাসী ও দখলবাজ হিসেবে পরিচিত। ৫ আগস্টের পর রাজনীতির প্রভাব কাটিয়ে সে আবার এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রবাসীর খামারে সাম্প্রতিক হামলার পর সে পালিয়ে গেছে। তাকে ধরতে পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালাচ্ছে।
#প্রবাসীর_খামার #লুটপাট #অগ্নিসংযোগ #বিএনপি #আসাদুল #রাজনৈতিক_সহিংসতা #বিচার_চাই #ExpatFarm #Looting #Arson #BNP #Asadul #PoliticalViolence #JusticeForExpat
বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট/এমআইজে