10:31 pm, Thursday, 21 August 2025

লস অ্যাঞ্জেলসে এবার আগুনের টর্নেডো!

লস অ্যাঞ্জেলসে এবার আগুনের টর্নেডো!

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে ভয়াবহ দাবানল ক্রমেই অবনতি ঘটাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই দাবানলে ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৬০ লাখের বেশি মানুষ জীবন হুমকির মধ্যে পড়েছেন। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে দাবানলের তীব্রতা এবং টর্নেডোর ঝুঁকি পরিস্থিতিকে আরো বিপজ্জনক করে তুলেছে।

৭ জানুয়ারি শুরু হওয়া দাবানলটি মূলত প্যালেসেইডস এবং ইটন অঞ্চলে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে ১৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, যা নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানের আড়াই গুণ বড়। এতে অন্তত ১২ হাজার অবকাঠামো ধ্বংস এবং ৫৭ হাজারের বেশি অবকাঠামো ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে সান্তা অ্যানা নামের শক্তিশালী ঝোড়ো বাতাস। সম্প্রতি বাতাসের গতি কমলেও তা আবার বেড়ে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বাতাসের তীব্রতা এবং শুষ্ক পরিবেশ মিলে একটি বিশেষ বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যা নতুন দাবানলের জন্ম দিতে পারে।

ইউসিএলএর একটি বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দাবানলের ভয়াবহতা বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব। গ্রিনহাউস গ্যাস দূষণ একে আরো তীব্র এবং জটিল করে তুলছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দাবানল থেকে নিজস্ব আবহাওয়া সৃষ্টির ফলে টর্নেডোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যা অত্যন্ত বিরল এবং বিপজ্জনক। বিশেষজ্ঞ টড হল সতর্ক করেছেন, এই চরম আবহাওয়ায় শক্তিশালী টর্নেডো সৃষ্টি হতে পারে।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহায়তায় দাবানল নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনো গুরুতর এবং জীবন ও সম্পদ রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

দাবানলের প্রভাবে লাখো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এ সংকটের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কাটিয়ে উঠতে স্থানীয় প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

Write Your Comment

About Author Information

Bangladesh Diplomat

যে শিক্ষা আমাদের গোলাম করে রাখে তা দিয়ে কী করব: ফরহাদ মজহার

লস অ্যাঞ্জেলসে এবার আগুনের টর্নেডো!

Update Time : 07:52:38 pm, Thursday, 16 January 2025

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে ভয়াবহ দাবানল ক্রমেই অবনতি ঘটাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই দাবানলে ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৬০ লাখের বেশি মানুষ জীবন হুমকির মধ্যে পড়েছেন। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে দাবানলের তীব্রতা এবং টর্নেডোর ঝুঁকি পরিস্থিতিকে আরো বিপজ্জনক করে তুলেছে।

৭ জানুয়ারি শুরু হওয়া দাবানলটি মূলত প্যালেসেইডস এবং ইটন অঞ্চলে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে ১৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, যা নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানের আড়াই গুণ বড়। এতে অন্তত ১২ হাজার অবকাঠামো ধ্বংস এবং ৫৭ হাজারের বেশি অবকাঠামো ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে সান্তা অ্যানা নামের শক্তিশালী ঝোড়ো বাতাস। সম্প্রতি বাতাসের গতি কমলেও তা আবার বেড়ে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বাতাসের তীব্রতা এবং শুষ্ক পরিবেশ মিলে একটি বিশেষ বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যা নতুন দাবানলের জন্ম দিতে পারে।

ইউসিএলএর একটি বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দাবানলের ভয়াবহতা বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব। গ্রিনহাউস গ্যাস দূষণ একে আরো তীব্র এবং জটিল করে তুলছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দাবানল থেকে নিজস্ব আবহাওয়া সৃষ্টির ফলে টর্নেডোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যা অত্যন্ত বিরল এবং বিপজ্জনক। বিশেষজ্ঞ টড হল সতর্ক করেছেন, এই চরম আবহাওয়ায় শক্তিশালী টর্নেডো সৃষ্টি হতে পারে।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহায়তায় দাবানল নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনো গুরুতর এবং জীবন ও সম্পদ রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

দাবানলের প্রভাবে লাখো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এ সংকটের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কাটিয়ে উঠতে স্থানীয় প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।