বছরের পর বছর বলিউডের রেড কার্পেট থেকে দূরে থাকা অভিনেতা সাহিল খান, সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন। ৪৮ বছর বয়সী এই অভিনেতা গত বছরের শুরুতে বেলারুশের নাগরিক মেলেনাকে বিয়ে করে সংবাদমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন। এক বছর পর তিনি জানালেন, তার স্ত্রী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
সাহিল তার ইনস্টাগ্রামে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “খুব গর্বিত মনে ঘোষণা করছি যে, আমার স্ত্রী মেলেনা আলেকজান্দ্রা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। আলহামদুলিল্লাহ, চমৎকার এই যাত্রা আমাদের। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের দোয়া কবুল করুন। আমিন।”
তবে এই ধর্মান্তরণের বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অনেকে সাহিলকে শুভকামনা জানালেও কিছু নেটিজেন তার ধর্মান্তরের সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করেছেন। যেমন, একজন মন্তব্য করেন, “বিয়ের পর ধর্মান্তরিত হওয়া কি ছিল প্রয়োজন?” আরেকজন লিখেছেন, “আপনি যদি তাকে ভালোবাসেন, তবে তাকে কেন ধর্মান্তরিত করতে হবে? তাকে তার মতো গ্রহণ করুন।”
এছাড়া, সাহিলের পোস্ট করা ছবিতে তার গলায় খ্রিষ্টান ধর্মের প্রতীক ‘ক্রস’ দেখা যায়, যা নিয়েও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
মেলেনার সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে সাহিল আগেও বলেছিলেন, “মেলেনা খুবই বুদ্ধিমতী, সংবেদনশীল এবং তার বয়সের তুলনায় অনেক বেশি পরিণত।”
সাহিলের জন্য এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৩ সালে তিনি ইরানি বংশোদ্ভূত নরওয়েজিয়ান অভিনেত্রী নেগার খানকে বিয়ে করেছিলেন, তবে ২০০৫ সালে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।
সাহিল তার দীর্ঘ বিরতির পর বলেছিলেন, “আমি সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পাচ্ছিলাম না। আর যেগুলো পেয়েছিলাম, তা ছিল রিয়েলিটি শোয়ের প্রস্তাব, যা আমি গ্রহণ করিনি। আমি দুর্ঘটনাবশত অভিনেতা হয়েছিলাম, সিনেমাও সফল হয়েছিল, তাই কিছুদিন ক্যারিয়ার ছিল।”
২০০১ সালে ‘স্টাইল’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখা সাহিল ২০১০ সাল পর্যন্ত সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। বর্তমানে তিনি দুবাইয়ে বাস করছেন এবং ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছেন, যদিও তার পরিবারের সদস্যরা এখনও মুম্বাইয়ে থাকেন।