বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত বা অবশিষ্ট ডাটা শুধু আগের প্যাকেজে নয়, বরং নতুন যেকোনো প্যাকেজ কিনলেও তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হবে। ফলে গ্রাহকদের আর পুরানো প্যাকেজটি পুনরায় কেনার জন্য বাধ্য হতে হবে না, এবং তারা পূর্বের অব্যবহৃত ডাটা ফেরত পেতে পারবেন।
সম্প্রতি বিটিআরসি তাদের ‘মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর ডাটা এবং ডাটা প্যাকেজ সম্পর্কিত নির্দেশিকা, ২০২৩’ সংস্করণটি সংশোধন করে নতুন ‘মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর ডাটা এবং ডাটা প্যাকেজ সম্পর্কিত নির্দেশিকা, ২০২৪’ জারি করেছে। এই নতুন নির্দেশনায় গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে জারি করা নির্দেশিকায় মোবাইল অপারেটরদের জন্য ৭ দিন, ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড মেয়াদে সর্বোচ্চ ৪০টি ডাটা প্যাকেজ অফারের সীমা নির্ধারণ করা হয়। এটি নিয়ে মোবাইল অপারেটররা অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। সেই প্রেক্ষাপটে ২০২৪ সালের নির্দেশিকায় আরও নমনীয়তা এবং গ্রাহকবান্ধব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নতুন নির্দেশিকায় অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ দিতে পারবে-
১. নিয়মিত প্যাকেজগুলোর মেয়াদ সর্বনিম্ন ১৫ দিন,
২. গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ দিন এবং
৩. রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ সর্বনিম্ন সাত দিন মেয়াদি হবে।
এই তিন ধরনের প্যাকেজের বাইরে মোবাইল অপারেটররা নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। এর আওতায় ঘণ্টাভিত্তিক এবং এক থেকে তিন দিন মেয়াদি প্যাকেজ করার সুযোগ দিয়েছে বিটিআরসি। নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি ঘণ্টার জন্য সর্বোচ্চ ২০০ এমবি, এক দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৩ জিবি, দুদিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫ জিবি এবং তিন দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৮ জিবি প্যাকেজ দিতে পারবেন অপারেটররা।
এছাড়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহকের যত ডাটাই অব্যবহৃত থাকুক না কেন, তার পুরোটাই নতুন প্যাকেজ (একই প্যাকেজ) কিনলে তাতে যোগ হয়ে যাবে।