আগামী শনিবার থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার, ইন্টারনেট, টিস্যু, আঙুর, আপেল, তরমুজ, তৈরি পোশাক, রেস্তোরাঁ, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, হোটেল ভাড়া এবং চশমার মতো ১০০টিরও বেশি পণ্যের ওপর নতুন ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আরোপ করবে সরকার। এতে দৈনন্দিন খরচ আরও বাড়বে এবং ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে বলে আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝামাঝি এসে, সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবা, খাবারের মূল্য, রেস্তোরাঁ ও হোটেল সেবার ওপর ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে রেস্তোরাঁ, বিস্কুট ও কেক, আচার, কাপড়, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সানগ্লাস, এবং টয়লেট টিস্যুর মতো পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। পাশাপাশি, বিমানের টিকিট, মুদ্রণ, সিনেমার টিকিট, মেরামত ও সার্ভিসিং খরচও বেড়ে যাবে।
মোবাইল ফোনের সেবায় সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়েছে, ফলে এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করার খরচে ৪২.৪৫ শতাংশেরও বেশি কর দিতে হবে। ইন্টারনেট সেবার ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের ফলে ইন্টারনেট বিলও বাড়তে পারে।
এটি সরকারের আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শর্ত হিসেবে করা হয়েছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এই কর বৃদ্ধি দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে, যারা ইতিমধ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফলে অর্থনৈতিক চাপে রয়েছেন।
ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে, কারণ এটি ব্যবসায়িক ক্ষতি এবং সেবার মানে অবনতি ঘটাবে বলে তারা মনে করছে। তারা সরকারের প্রতি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।
এমন সময়ে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেকেই “নজিরবিহীন” বলছেন, এবং এর ফলে ভোক্তাদের জীবনযাত্রার খরচ আরও কঠিন হয়ে উঠবে।