ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর সাবেক সভাপতি এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের ঋণ, আমানত, আমদানি-রপ্তানি সম্পর্কিত সব ধরনের তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে আগামী রোববারের মধ্যে এই তথ্যগুলো পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়।
বিএফআইইউর চিঠিতে শমী কায়সারের ঋণের মঞ্জুরীপত্র, লকার হিসাব, আমদানি-রপ্তানির তথ্যসহ তার নামে থাকা সব ধরনের হিসাব বিবরণী এবং লেনদেনের তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া শমী কায়সারের কেওয়াইসি প্রোফাইল এবং হিসাব খোলার ফরমও চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে তার দুইটি বাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে—নিউ ইস্কাটন ও গুলশান। তবে, কোন প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
গত বছর শমী কায়সারের মালিকানাধীন ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশনের নামে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে, যেটি ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের আওতায় ছিল। তবে, বিএফআইইউ এই তলবের সুনির্দিষ্ট কারণ প্রকাশ করেনি।
এছাড়া, গত আগস্ট মাসে সরকার পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্যদের এবং আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ অনেক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব ও ফ্রিজ করা হয়।