বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার দুইটি পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেছে। তাহলে কোন পাসপোর্টের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে পাঠানোর আবেদন করলেও ভারত সরকার তাকে না পাঠিয়ে উল্টো ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে পুরস্কৃত করেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দোহার উপজেলার জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা দেশে লাশের রাজনীতি কায়েম করেছিলেন। তার আমলে পুকুরে-জঙ্গলে বনে-বাদারে লাশ পড়ে থাকতো। শেখ হাসিনার ভয়ে দেশে কেউ কথা বলতে পারে নাই। তিনি ছিলেন পাড়া-মহল্লার মাস্তান। তার ছাত্রলীগের গুণ্ডাদের ভয়ে কোনো স্কুল কলেজে ছাত্রদলের কেউ রাজনীতি করতে পারে নাই।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে ভয় ও আতঙ্কের নগরীতে তৈরি করেছিলেন। বিগত ১৭ বছর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পরিবারের সঙ্গে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারেনি। নেতাকর্মীরা সব সময় আতঙ্কে থাকতেন কখন আবার স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পালিত পুলিশ বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করবে এবং মামলা দিবে।
অ্যাডভোকেট রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষকে নির্বিঘ্নে, শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তিনি জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আজীবন এদেশের সম্রাজ্ঞী-মহারাণী হয়ে থাকতে চেয়েছিলেন। আর এর জন্য তিনি তার মনের মত করে পুলিশ, র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাজিয়েছিলেন। জনগণ, নির্বাচন ও ভোটের দরকার তার ছিল না। জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে তিনি নিজেই নির্ধারণ করতো কাকে মেম্বার বানাবে, কাকে চেয়ারম্যান বানাবে, কাকে এমপি বানাবে। তিনি এদেশকে দুর্বৃত্তের দেশ, এক দাজ্জালের দেশ ও এক দস্যুর দেশে পরিণত করেছিল।
তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় নেতা ছিলেন এটা সত্য। তবে তিনি যুদ্ধের পরে দেশে গণতন্ত্র হত্যা করেছে, সব রাজনৈতিক দল বন্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। শেখ হাসিনা তার পিতার পথেই হেঁটেছেন। তিনি তার বাপের বাকশালকে নতুন আঙ্গিকে তৈরি করেছিলেন। এতো অপরাধ করেও শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে টিকতে পারলেন না। ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শেখ হাসিনার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।