ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কোদলা নদীর পাঁচ কিলোমিটার অংশ ভারতের দখল থেকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এতদিন এ নদীর বাংলাদেশ সীমান্তের অংশটি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দখল করে রেখেছিল। সোমবার রাতে ৫৮ বিজিবি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি জানায়, কোদলা নদী বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে দক্ষিণ দিকে প্রসারিত হয়ে মহেশপুরের মাটিলা এলাকায় ৪.৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত চিহ্নিত করেছে। ১৯৬১ সালের বাংলাদেশ-ভারত মানচিত্র অনুসারে এ নদীর উল্লেখিত অংশ বাংলাদেশের সীমানার অভ্যন্তরে অবস্থিত।
স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার পর নদী তীরবর্তী মানুষজন ভেতরে বসবাস শুরু করলে বিএসএফ এই অংশে আধিপত্য বিস্তার করে। ফলে কৃষকরা চাষাবাদ ও মাছ আহরণে বাধার সম্মুখীন হতেন। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন বলেন, কোদলা নদীর বাংলাদেশ অংশে গেলেই বিএসএফ বাধা দিত, যা প্রায়শই দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করত।
সম্প্রতি বিজিবি বিষয়টি নজরে এনে প্রয়োজনীয় নথি ও মানচিত্র পর্যালোচনা করে বিএসএফের অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বিজিবি সদস্যদের সাহসিকতায় নদীর মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে নদীর সুরক্ষায় বিজিবি সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি যন্ত্রচালিত বোট ও টহলের জন্য আধুনিক যান বরাদ্দ করা হয়েছে।
উদ্ধার কার্যক্রম শেষে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. আজিজুস সহিদ স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি নদীর প্রকৃত মালিকানা সম্পর্কে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অবগত রাখার আহ্বান জানান এবং গ্রামবাসীদের নদীটি সেচ ও চাষাবাদের কাজে ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা বিজিবির পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং নদী রক্ষায় সচেতন থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।