ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে বলেন, “আমরা গাজায় শান্তি আসা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।”
তুর্কি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এরদোগান বলেন, “গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে প্রায় ৫ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করেছে এবং দেখিয়েছে যে, গাজা একা নয়। ১ জানুয়ারি, আমাদের নাগরিকরা ফিলিস্তিনের প্রতি তুরস্কের অটল সমর্থন প্রদর্শন করে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে।”
সিরিয়ার পরিস্থিতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “৬১ বছরব্যাপী বাথ শাসনের নিপীড়ন এবং ১৩ বছরের গণহত্যার পর সিরিয়া যেভাবে মুক্ত হয়েছে, আল্লাহর ইচ্ছায় ফিলিস্তিনেও ন্যায়ের জয় হবে। ন্যায়ের সূর্য নিপীড়নের অন্ধকার ভেদ করবে।”
বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের প্রতি আরও বেশি সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, “২০২৫ সাল গাজার মানুষের জন্য শান্তি ও স্বস্তি নিয়ে আসবে।”
ফিলিস্তিন সম্পর্কিত তুরস্কের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হলো, ১৯৬৭ সীমানার ভিত্তিতে আঞ্চলিক অখণ্ডতার সঙ্গে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং পূর্ব জেরুজালেমকে তার রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলা শুরু হয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই তুরস্ক ফিলিস্তিনিদের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে আসছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফিলিস্তিনের অধিকারের পক্ষে শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছে।