বিএনপির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি কামরুল হুদা একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। বুধবার (১ জানুয়ারি) চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম প্রতিদিন নিলেই বেহেশত নিশ্চিত। কারণ তিনি জনগণের সঙ্গে হঠকারিতা করেননি।”
কামরুল হুদার এই বক্তব্য ইতোমধ্যে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার মন্তব্য ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। স্থানীয় একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, “কোনো মুসলিম এমন বক্তব্য দিতে পারে? এটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক।”
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারের সমালোচনা করে কামরুল হুদা বলেন, “শেখ সেলিম ও শেখ হেলালসহ এ পরিবার দেশটাকে লুটপাটের মাধ্যমে ধ্বংস করে দিয়েছে। শেখ পরিবারে কেউ মুক্তিযোদ্ধা নন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।”
জামায়াতের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একসময় তারা বিএনপির ওপর ভর করে ক্ষমতার স্বাদ নিয়েছে। এখন তাদের প্রকৃত অবস্থান জনগণের কাছে স্পষ্ট।”
কামরুল হুদা দলের নেতা-কর্মীদের আগামী নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে ২০০টি ছোট লাঠি প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানের পাশেই একটি মসজিদ থাকায় জোহরের আজানের সময় বিরতি দেওয়ার অনুরোধ উপেক্ষা করেন কামরুল হুদা। তিনি মোয়াজ্জিনকে মাইকে না ডেকে মুখে আজান দেওয়ার নির্দেশ দেন, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
নিজের বক্তব্যের পক্ষে কামরুল হুদা বলেন, “জিয়াউর রহমান মক্কায় হাজিদের সুবিধার্থে নিম গাছ লাগিয়েছিলেন। এজন্য তার নাম নিলে বেহেশতে যাওয়া যাবে, এতে ভুল কিছু নেই।”
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেছেন, “আমি এখনো এই বক্তব্য শুনিনি। ভিডিওটি দেখে মন্তব্য করব।”