ফরিদপুরের সালথায় এক যুবলীগ কর্মীকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে আহত ইকরাম মাতুব্বরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। এর আগে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গট্টি ইউনিয়নের বালিয়াগট্টি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ইকরাম মাতুব্বর উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের পাটপাশা বালিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসহাক মাতুব্বরের ছেলে। ইসহাক মাতুব্বর গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে ইকরাম মাতুব্বর রসুলপুর হাটে পেঁয়াজের হালি বিক্রি করে বালিয়া গট্টি বাজারে আসেন। ওই বাজারে একটি হোটেলে রুটি খাওয়ার জন্য বসলে পাটপাশা বালিয়া গ্রামের আরিফ, আসলাম ও দুলালসহ কয়েকজন যুবক তাকে হাতুড়ি পেটা করেন। এ সময় তাকে লোহার রড দিয়ে পায়ে আঘাত করে। এতে তার ডান পা ভেঙে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।
এ ব্যাপারে ইকরাম মাতুব্বরের বাবা মো. ইসহাক মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে আপাতত কোনো রাজনীতি করে না। পাটপাশা বালিয়া গ্রামের আরিফ, আসলাম ও দুলালসহ কয়েকজন লোক আমার ছেলেকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে হাতুড়ি পেটা ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত আরিফ, আসলাম ও দুলালের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মোবাইল নাম্বারও বন্ধ পাওয়া যায়।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।