2:37 am, Saturday, 28 December 2024

ভারত সীমান্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধ নির্মাণ করবে চীন

  • Akram
  • Update Time : 09:54:41 am, Friday, 27 December 2024
  • 20

ভারত সীমান্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধ নির্মাণ করবে চীন

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের উৎপত্তিস্থলের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব প্রান্তে এই বাঁধ নির্মাণ করা হবে ইয়ারলুং জাংবো নদীর ওপর। এই নদী ভারতের অরুণাচল, আসাম হয়ে বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নাম পেয়েছে।

গতকাল বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এ অঞ্চলে বাঁধ দিলে এর প্রভাব ভারত ও বাংলাদেশের ওপর পড়বে।

তথ্যমতে, বাঁধটি চীনের ইয়ারলুং জাংবো নদীর নিম্নাংশে তৈরি করা হবে। এ থেকে বছরে ঘণ্টায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী বাঁধ চীনের থ্রি গর্জেস। এটি ঘণ্টায় ৮৮.২ বিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে। নতুন অনুমোদিত প্রকল্প থেকে এর তিন গুণেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া বুধবার জানিয়েছে, এ প্রকল্পটি চীনের কার্বন নিঃসরণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছানো এবং কার্বন নিরপেক্ষতা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া, এটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শিল্পের প্রসার ঘটাবে এবং তিব্বতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

ইয়ারলুং জাংবো নদীর একটি অংশ মাত্র ৫০ কিলোমিটারের (৩১ মাইল) পরিসরে নাটকীয়ভাবে ২ হাজার মিটার (৬,৫৬১ ফুট) নিচে নেমে গিয়ে এ বিশাল জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তিব্বতে নির্মীয়মাণ এই প্রকল্পটি কতজন মানুষকে স্থানচ্যুত করবে বা এটি স্থানীয় পরিবেশে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। চীনা কর্মকর্তাদের মতে, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশ বা নিম্নাঞ্চলের জল সরবরাহে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

Write Your Comment

About Author Information

Akram

কনক্রিট হল ব্লক- বাড়ির শক্ত ভিতের জন্য সেরা পছন্দ

ভারত সীমান্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধ নির্মাণ করবে চীন

Update Time : 09:54:41 am, Friday, 27 December 2024

যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের উৎপত্তিস্থলের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব প্রান্তে এই বাঁধ নির্মাণ করা হবে ইয়ারলুং জাংবো নদীর ওপর। এই নদী ভারতের অরুণাচল, আসাম হয়ে বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নাম পেয়েছে।

গতকাল বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এ অঞ্চলে বাঁধ দিলে এর প্রভাব ভারত ও বাংলাদেশের ওপর পড়বে।

তথ্যমতে, বাঁধটি চীনের ইয়ারলুং জাংবো নদীর নিম্নাংশে তৈরি করা হবে। এ থেকে বছরে ঘণ্টায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী বাঁধ চীনের থ্রি গর্জেস। এটি ঘণ্টায় ৮৮.২ বিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে। নতুন অনুমোদিত প্রকল্প থেকে এর তিন গুণেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া বুধবার জানিয়েছে, এ প্রকল্পটি চীনের কার্বন নিঃসরণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছানো এবং কার্বন নিরপেক্ষতা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া, এটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শিল্পের প্রসার ঘটাবে এবং তিব্বতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

ইয়ারলুং জাংবো নদীর একটি অংশ মাত্র ৫০ কিলোমিটারের (৩১ মাইল) পরিসরে নাটকীয়ভাবে ২ হাজার মিটার (৬,৫৬১ ফুট) নিচে নেমে গিয়ে এ বিশাল জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তিব্বতে নির্মীয়মাণ এই প্রকল্পটি কতজন মানুষকে স্থানচ্যুত করবে বা এটি স্থানীয় পরিবেশে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। চীনা কর্মকর্তাদের মতে, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশ বা নিম্নাঞ্চলের জল সরবরাহে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।