2:55 am, Friday, 27 December 2024

দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে যা বললেন জয়

  • Akram
  • Update Time : 01:50:11 pm, Wednesday, 25 December 2024
  • 26

দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে যা বললেন জয়

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের ‘দুর্নীতিতে’ জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, এটি ‘একদম ভুয়া’ ও ‘উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা’।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ”সরকারি কোনো প্রকল্প থেকে আমি কিংবা আমার পরিবার, কেউই কোনো দেশের থেকে অর্থ নেইনি। এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততাও নেই।”

সপ্তাহ খানেক আগে আনুষ্ঠানিকভাবে জয় ও তার মা শেখ হাসিনা, খালা শেখ রেহানা ও খালাত বোন টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার তথ্য দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

সেদিন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের বিশেষ অগ্রাধিকারের আট প্রকল্পে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ওঠা ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করার কথাও বলে দুদক।

গত ১৭ ডিসেম্বর দুদক এ দুই সিদ্ধান্ত জানানোর পরদিন এ নিয়ে অনুসন্ধান চালাতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে। এছাড়া শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ডলার পাচারের আরেকটি অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার এসব ‘দুর্নীতির’ তদন্তকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখার কথা বলেছে।

এরইমধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরুর তথ্য তুলে ধরে মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাজগুলো শুরু হয়েছে। আরও বিস্তারিত কার্যক্রম জানতে পারবেন। এটা আমাদের টপ প্রায়োরিটি।”

এ খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর মঙ্গলবার রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পে ওঠা দুর্নীতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বসবাসরত জয়ের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে রয়টার্স।

জয় দাবি করেন, “এক হাজার কোটি ডলারের কোনো প্রকল্প থেকে কোটি কোটি ডলার আত্মসাৎ করা সম্ভব নয়। আমাদের অফশোর কোনো ব্যাংক হিসাবও নেই।

“আমি ৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকি। আমার খালা (শেখ রেহানা) ও খালাতো বোনেরাও প্রায় একই সময় ধরে যুক্তরাজ্যে থাকেন। এসব দেশে আমাদের ব্যাংক হিসাব আছে ঠিকই, কিন্তু আমাদের কেউই কখনো এত অর্থ দেখিনি।”

দুদকের অভিযোগ, রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের ‘আর্থিক অনিয়ম’ হয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনা, তার ছেলে জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা ‘পাচার করা হয়েছে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে’।

রয়টার্স লিখেছে, বিট্রিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক এবং রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকারী রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি।

তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের একজন মুখপাত্র ‘দুর্নীতিতে’ টিউলিপের যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তার (টিউলিপ) প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আস্থা রয়েছে। টিউলিপ তার দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।

শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের নেতৃত্বাধীন সরকারে আর্থিক সেবাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর (সিটি মিনিস্টার) দায়িত্বে আছেন।

Write Your Comment

About Author Information

Akram

কনক্রিট হল ব্লক- বাড়ির শক্ত ভিতের জন্য সেরা পছন্দ

দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে যা বললেন জয়

Update Time : 01:50:11 pm, Wednesday, 25 December 2024

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের ‘দুর্নীতিতে’ জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, এটি ‘একদম ভুয়া’ ও ‘উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা’।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ”সরকারি কোনো প্রকল্প থেকে আমি কিংবা আমার পরিবার, কেউই কোনো দেশের থেকে অর্থ নেইনি। এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততাও নেই।”

সপ্তাহ খানেক আগে আনুষ্ঠানিকভাবে জয় ও তার মা শেখ হাসিনা, খালা শেখ রেহানা ও খালাত বোন টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার তথ্য দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

সেদিন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের বিশেষ অগ্রাধিকারের আট প্রকল্পে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ওঠা ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করার কথাও বলে দুদক।

গত ১৭ ডিসেম্বর দুদক এ দুই সিদ্ধান্ত জানানোর পরদিন এ নিয়ে অনুসন্ধান চালাতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে। এছাড়া শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ডলার পাচারের আরেকটি অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার এসব ‘দুর্নীতির’ তদন্তকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখার কথা বলেছে।

এরইমধ্যে এ নিয়ে কাজ শুরুর তথ্য তুলে ধরে মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাজগুলো শুরু হয়েছে। আরও বিস্তারিত কার্যক্রম জানতে পারবেন। এটা আমাদের টপ প্রায়োরিটি।”

এ খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর মঙ্গলবার রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পে ওঠা দুর্নীতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বসবাসরত জয়ের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে রয়টার্স।

জয় দাবি করেন, “এক হাজার কোটি ডলারের কোনো প্রকল্প থেকে কোটি কোটি ডলার আত্মসাৎ করা সম্ভব নয়। আমাদের অফশোর কোনো ব্যাংক হিসাবও নেই।

“আমি ৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকি। আমার খালা (শেখ রেহানা) ও খালাতো বোনেরাও প্রায় একই সময় ধরে যুক্তরাজ্যে থাকেন। এসব দেশে আমাদের ব্যাংক হিসাব আছে ঠিকই, কিন্তু আমাদের কেউই কখনো এত অর্থ দেখিনি।”

দুদকের অভিযোগ, রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের ‘আর্থিক অনিয়ম’ হয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনা, তার ছেলে জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা ‘পাচার করা হয়েছে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে’।

রয়টার্স লিখেছে, বিট্রিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক এবং রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকারী রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি।

তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের একজন মুখপাত্র ‘দুর্নীতিতে’ টিউলিপের যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তার (টিউলিপ) প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আস্থা রয়েছে। টিউলিপ তার দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।

শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের নেতৃত্বাধীন সরকারে আর্থিক সেবাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর (সিটি মিনিস্টার) দায়িত্বে আছেন।