চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে এমভি আল বাখেরা জাহাজে ৭ জনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন ওই জাহাজেরই কর্মী আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান। তাকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে এই তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের কারণে ক্ষুব্ধ ছিলেন ইরফান। সেই ক্ষোভ থেকেই তিনি জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়সহ সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
তিনি জানান, জাহাজের বাজার করার জন্য ইরফান পাবনার একটি বাজারে নেমেছিল। সেখান থেকে তিনি তিন পাতা ঘুমের ওষুধ কেনেন। ইরফান একটি চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ঘুমন্ত সাত জনকে হত্যা করেন। নিরাপত্তার জন্য কুড়ালটি আগে থেকেই ওই জাহাজে ছিল।
তিনি আরও জানান, ইরফান প্রথমে খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সবাইকে অচেতন করে। পরে হাতে গ্লাভস পড়ে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর সবাইকে কোপানের পর মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজে জাহাজ চালিয়ে হাইম চর এলাকায় এসে অন্য একটি ট্রলারে করে পালিয়ে যান।
এর আগে, গত রোববার চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে থেমে থাকা একটি জাহাজে সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।