বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দেশের জন্য প্রয়োজনে আরেকটা লড়াই হবে। ভোটের অধিকার আদায়ে ৫ আগস্টের মতো আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ মাঠে এক জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি সংস্কার বলতে এটুকু বুঝি, আমার একটা পরিবর্তন লাগবে। পরিবর্তনটা কি? যেন আমার ভোটটা আমি নিজে দিতে পারি। পার্লামেন্টে যেন আমাদের কথাটা আলোচনা হয়। কৃষক ন্যায্য দাম পায়, শ্রমিক যেন ন্যায্য মজুরি পায়। দিন শেষে আমরা একটু শান্তিতে ঘুমাতে চান।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে যারা যুদ্ধ করেছি আমাদের একটা স্বাধীন দেশ পাবো বলে। পাকিস্তানিরা আমাদের উপর আর অত্যাচার করতে পারবেনা। লক্ষ লক্ষ মানুষ সেখানে শহিদ হয়েছিলো। আমরা হিন্দু মুসলমান ভাইয়েরা ঘরবাড়ি ছেড়ে ভারতে চলে গিয়েছিলাম। আমাদের বাড়িঘর পাক হানাদার বাহিনী লুট করে নিয়ে গিয়েছিলো। এরপর স্বাধীন হলাম যুদ্ধ করে। একটা দেশ পেলাম স্বাধীন বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আশা ছিলো, ভরসা ছিলো শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের বড় নেতা, তিনি আমাদের পাকিস্তান থেকে এসে একটা সুন্দর শান্তির দেশ দিবেন। যেখানে পরস্পর পরস্পরের মধ্যে ভাই ভাই হয়ে বাঁচবো। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের! আমরা সেটা পাই নাই।
ইতিহাস তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার যে নেতাকে (শেখ মুজিব) এত মানুষ ভালোবাসলো, যে দলটাকে(আওয়ামী লীগ) এত মানুষ ভালোবাসলো, সে দলটাই এ দেশের মানুষের উপরে চড়াও হয়ে গেল।