7:51 pm, Sunday, 22 December 2024

নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

  • Akram
  • Update Time : 08:18:06 pm, Saturday, 21 December 2024
  • 45

নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায় হাতকড়া পরা এক আসামি হাসিমুখে নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আছে। পাশে থাকা আরেক পুলিশ সদস্য তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই এটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। অনেকেই এটিকে বাস্তব ঘটনা বলে প্রচার করছেন। তবে বাংলাদেশি তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, ভিডিওটি কোনো বাস্তব ঘটনার নয়। এটি আসলে একটি নাটকের শুটিংয়ের সময় ধারণ করা দৃশ্য।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রিউমর স্ক্যানারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি দেওয়ার এই ভিডিওটি কোনো বাস্তব ঘটনার নয়। এটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভি’র ‘মাশরাফি জুনিয়র’ ধারাবাহিক নাটকের শুটিংয়ের সময় ধারণকৃত একটি অভিনীত ভিডিও। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ‘আসিফ আদনান ব্রো’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ৮ নভেম্বর ‘এ একটা কাজ হলো’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ভিডিওটির সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভিডিওটির সঙ্গে যুক্ত ‘বিমান বন্দর থেকে গ্রেপ্তার সিঙ্গেল লীগের সভাপতি আসিফ আদনান’ লেখা থেকে প্রতীয়মান হয়, এটি মজার ছলে তৈরি একটি ভিডিও। এছাড়া ওই ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবির সঙ্গে ভিডিওতে আসামির ভূমিকায় থাকা ব্যক্তির চেহারার মিল পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আসিফ আদনানের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ১৮ ডিসেম্বর ‘একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি ভাইরাল’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে আসিফ আদনান বলেন, তিনি দীপ্ত টিভির ডিজিটাল ডিপার্টমেন্টে কর্মরত এবং পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করেন। নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে মজার ছলে নিজের জন্য এই ভিডিওটি তৈরি করেছিলেন।

এছাড়া আসিফ আদনানের ফেসবুক পেজে গত ২০ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি পোস্টেও একই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি দেওয়ার একটি স্ক্রিপ্টেড ভিডিও বাস্তব ঘটনার দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

Write Your Comment

About Author Information

Akram

কনক্রিট হল ব্লক- বাড়ির শক্ত ভিতের জন্য সেরা পছন্দ

নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

Update Time : 08:18:06 pm, Saturday, 21 December 2024

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায় হাতকড়া পরা এক আসামি হাসিমুখে নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আছে। পাশে থাকা আরেক পুলিশ সদস্য তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই এটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। অনেকেই এটিকে বাস্তব ঘটনা বলে প্রচার করছেন। তবে বাংলাদেশি তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, ভিডিওটি কোনো বাস্তব ঘটনার নয়। এটি আসলে একটি নাটকের শুটিংয়ের সময় ধারণ করা দৃশ্য।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রিউমর স্ক্যানারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি দেওয়ার এই ভিডিওটি কোনো বাস্তব ঘটনার নয়। এটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভি’র ‘মাশরাফি জুনিয়র’ ধারাবাহিক নাটকের শুটিংয়ের সময় ধারণকৃত একটি অভিনীত ভিডিও। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ‘আসিফ আদনান ব্রো’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ৮ নভেম্বর ‘এ একটা কাজ হলো’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ভিডিওটির সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভিডিওটির সঙ্গে যুক্ত ‘বিমান বন্দর থেকে গ্রেপ্তার সিঙ্গেল লীগের সভাপতি আসিফ আদনান’ লেখা থেকে প্রতীয়মান হয়, এটি মজার ছলে তৈরি একটি ভিডিও। এছাড়া ওই ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবির সঙ্গে ভিডিওতে আসামির ভূমিকায় থাকা ব্যক্তির চেহারার মিল পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আসিফ আদনানের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ১৮ ডিসেম্বর ‘একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি ভাইরাল’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে আসিফ আদনান বলেন, তিনি দীপ্ত টিভির ডিজিটাল ডিপার্টমেন্টে কর্মরত এবং পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করেন। নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে মজার ছলে নিজের জন্য এই ভিডিওটি তৈরি করেছিলেন।

এছাড়া আসিফ আদনানের ফেসবুক পেজে গত ২০ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি পোস্টেও একই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি দেওয়ার একটি স্ক্রিপ্টেড ভিডিও বাস্তব ঘটনার দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।