চাঁদাবাজদের হালনাগাদ তালিকা তৈরি করা হয়েছে, দুই-তিনদিনের মধ্যে তালিকা ধরে অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পুলিশ, ছাত্র, জনতা ও রমনা মডেল থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘চাঁদাবাজ মোকাবিলায় শুধু পুলিশ নয়, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।’ কেউ চাঁদাবাজি করবেন না। চাঁদাবাজি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, যোগ করেন তিনি।
শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী বলেন, ‘গত এক মাসে আইনশৃঙ্খল সংক্রান্ত নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। মতবিরোধ থাকতে পারে, এ জন্য সংঘর্ষে কেন জড়াতে হবে? তাবলীগ জামাতের সংঘর্ষে চারজনের প্রাণ গেছে। এর দায়িত্ব কে নেবে?’
শহরে যানজট প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যত্রতত্র মিছিলের কারণে রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। এতে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। অটোরিকশাও যানজটের অন্যতম কারণ।’ এ যান নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্যাক্সের আওতায় আনার দাবি জানান ডিএমপি কমিশনার।
ফুটপাতের হকারদের বিষয়ে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, হকারদের একবারে উচ্ছেদ করে দেওয়া অমানবিক। তবে, হকাররা যেন সংযত অবস্থায় রাস্তায় থাকে এ জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ। সেইসঙ্গে হকারদের কাছ থেকে কাউকে চাঁদা দেওয়া যাবে না।
এ ছাড়া রাস্তার ওপর নির্মাণ সরঞ্জাম রাখার কারণেও যানজট সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মোবাইল ছিনতাই আশঙ্কাজনভাবে বাড়ছে, এ জন্য সতর্কভাবে রাস্তায় ফোন ব্যবহারের পরামর্শ দেন শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ‘মাদক বৃদ্ধির কারণেও ছিনতাই বাড়ছে। সামজিক আন্দোলন করে এসব সমস্যা সমাধান করতে হবে। পুলিশের একার পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব না।’
বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট- এমআইজে