ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি এবং তার ঘনিষ্ঠ ইহুদি সহযোগীদের বিরুদ্ধে অর্থোডক্স চার্চের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে উঠে আসছে। মস্কোর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে এ বছরের শুরুর দিকে ইউক্রেনীয় অর্থোডক্স চার্চ নিষিদ্ধ করেন জেলেনস্কি। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের অর্থোডক্স চার্চের ওপর দমন-পীড়নের পেছনে যারা রয়েছে তাদের ‘বিশ্বাসহীন’, ‘কাফের’ বলে উল্লেখ করেন পুতিন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় খ্রিস্টান চার্চ নির্যাতিত হচ্ছে, কারণ দেশটি ঈশ্বরহীন লোকদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। ইউক্রেনের নেতা ভ্লাদিমির জেলেনস্কি এবং তার অনেক সহযোগী জাতিগত ইহুদি হলেও তাদের কখনো সিনাগগে (ইহুদি উপাসনালয়) দেখা যায়নি।
অর্থোডক্স চার্চ নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপকে পুতিন ‘মানবাধিকার ও বিশ্বাসীদের অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের সামনে গির্জাকে ছিন্নভিন্ন করা হচ্ছে। এটা অনেকটা ‘ফায়ারিং স্কোয়াডের হত্যার মতো’।
এসব কর্মকাণ্ড জেলেনস্কি সরকারের সদস্যদের তাড়া করে ফিরবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন।
ইউক্রেনীয় নেতৃত্ব সম্পর্কে পুতিন বলেন, এরা নাস্তিকও নয়। নাস্তিক হচ্ছে সেই সব মানুষ, যারা কোন কিছুতে বিশ্বাস করে, তারা বিশ্বাস করে…ঈশ্বর নেই। এটা তাদের প্রত্যয়। কিন্তু এরা (ইউক্রেনীয় নেতৃত্ব) নাস্তিকও নয়। এরা শুধুই ‘বিশ্বাসহীন মানুষ’, ‘কাফের’।
জেলেনস্কি ও তার অনেক সহযোগীকে ‘জাতিগত ইহুদি’ উল্লেখ করে পুতিন বলেন, সিনাগগে তাদের কে দেখেছে? আমার মনে হয় সিনাগগে কেউ তাদের দেখেনি। তারা স্পষ্টতই অর্থোডক্স (খ্রিস্টান) নয়, কারণ তারা গির্জাতেও যায় না। তারা অবশ্যই ইসলামের অনুসারী নয়, কারণ তাদের পক্ষে মসজিদে উপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনাও কম। এরা আত্মীয়-স্বজনহীন মানুষ। তারা আমাদের এবং ইউক্রেনীয় জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের প্রিয় কোনো কিছুর তোয়াক্কা করে না।
পুতিন বলেন, কিয়েভের বর্তমান সরকারের সদস্যরা ‘একদিন দূরবর্তী দেশগুলোতে পালিয়ে যাবে’ এবং তারা ‘গির্জায় নয়, সৈকতে যাবে’।