শান্তি, বন্ধুত্ব এবং গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশে খোলা চিঠি দিয়েছেন ৬৮৫ জন ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিক। এদের মধ্যে সাবেক বিচারক, আমলা, এবং বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূত রয়েছেন। চিঠিতে দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই খোলা চিঠিতে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত হামলা ও তাদের সম্পত্তি ধ্বংসের বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়েছেন ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরাইশি।
চিঠিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিয়া এবং আহমদিয়াসহ সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করা উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বিদ্যমান স্থল ও সমুদ্রসীমা সমস্যা সমাধান এবং বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত সহযোগিতার জন্য প্রশংসা করা হয়েছে। ভারত যে সহজ শর্তে ঋণ ও অনুদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে, তা উল্লেখ করে বলা হয়, এই সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক উভয় দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রক্ষা করবে।
চিঠিতে বাংলাদেশি জনগণকে ভারতবিরোধী প্রচারণা দ্বারা প্রভাবিত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা পুনরুদ্ধারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
চিঠির মাধ্যমে ভারতীয় বিশিষ্টজনরা বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।