দীর্ঘ সাত বছর পর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার খবরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে আশা জেগেছিল। তবে সেই আশায় কিছুটা ভাটা পড়ল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে যোগ দিতে পারছেন না।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) গত পরশু রাত থেকে অসুস্থ। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার সমাবেশে অংশ নেওয়া বাতিল করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ’ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছেন, তা নিয়ে (বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায়) বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উপদেষ্টার ভাষণের যে ব্যাখ্যা দেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়। সভা মনে করে, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্য অস্পষ্ট।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) বক্তব্যে নির্বাচনের একটি সাম্ভাব্য সময়ের কথা বলা হলেও নির্বাচনের রোডম্যাপ সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখা হয়নি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সাম্ভাব্য সময়সীমা ’২৫ সালের শেষ অথবা ’২৬ সালের প্রথম অংশে অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন, যা একেবারেই অস্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ নেই। অথচ তার প্রেস সচিব বলেছেন যে, ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা পরস্পরবিরোধী।