রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এ বছর পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত অষ্টম বেঙ্গল ট্রাভেল মার্টে (বিটিএম) অংশ নিচ্ছে না।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের এই মেলায় অংশগ্রহণ করছে নেপাল ও ভুটান। এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া।
বিটিএম আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান সন্দীপন ঘোষ জানান, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা মেলায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভারত সফর কমে গেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সিকিম ও তার আশপাশে ২৭ হাজারের বেশি বাংলাদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় তাদের আগমন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
মেলার অন্যতম আয়োজক ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন (ইএইচটিটিওএ) জানায়, নেপাল ও ভুটানের পর্যটন স্থাপনাগুলো এবার মেলার মূল আকর্ষণ। ভুটানের পর্যটন শিল্পের প্রতিনিধিরা প্রথমবারের মতো বিটিএম-এ অংশ নিচ্ছেন।
ইএইচটিটিওএর সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, মেলার সময় ভুটানের হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (এইচআরএবি) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। ভুটান প্রতিবছর ৫ লাখের বেশি পর্যটক আকর্ষণ করে, যার ৬০ শতাংশ ভারতীয়। ভারতের উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নেওয়ায় ভুটান সীমান্ত পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের সিনিয়র ম্যানেজার সূর্য থাপালিয়া জানিয়েছেন, মেলায় নেপালের পূর্বাঞ্চলের পর্যটন স্থানগুলো তুলে ধরা হবে। পূর্ব নেপালের মন্দির, ধর্মীয় স্থান, বনভূমি এবং হিমালয়ের মনোরম দৃশ্য ভারতীয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কোভিড-১৯ মহামারির পর ভারতের উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের পর্যটন খাত পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। তবে বাংলাদেশি পর্যটকদের অভাব এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রভাব তাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছাড়াই এবার মেলার ফোকাস নেপাল ও ভুটানের পর্যটন শিল্পের ওপর, যা সীমান্ত পর্যটনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আয়োজকরা মনে করছেন।