সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৫৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ফুলেল শ্রদ্ধায় জাতির বীর সূর্য সন্তানদের স্মরণ করছে সর্বস্তরের জনগণ। ভোর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা হাতে ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুনে নিয়ে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে জড়ো হন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশ, তাদের প্রতি সম্মান জানাতে পুষ্পস্তর্বক ও ফুল হাতে জড়ো হয়েছেন লাখো মানুষ।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ বেদি ভরে যায় শ্রদ্ধার ফুলে। একইসঙ্গে দলে দলে ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিয়ে প্রবেশ করতে থাকেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ সময় অনেককে লাল-সবুজের পোশাক পড়ে হাতে ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এছাড়া শিশু কিশোর থেকে বয়োবৃদ্ধরাও আসেন শ্রদ্ধা নিবেদন করতে।
১৯৭১ সালের এদিনে দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেন মুক্তিগামী বাঙালীরা। এতে পৃথিবীর বুকে স্থান পায় নতুন একটি মানচিত্রের। সেই মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকাকে তুলে বাঙালি জাতি। এতে ত্রিশ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ওই পতাকা। তাদের সম্মান জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রাঙ্গণে এসেছে হাজারো মানুষ।
এর আগে ভোর সাড়ে ৬ টায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ ও তাদের শ্রদ্ধায় পুষ্পস্তর্বক অর্পণ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে ৭টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী, মুক্তিযোদ্ধা ও যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, দেশি-বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।