2:07 am, Monday, 23 December 2024

‘ফ্রি ফায়ার’ খেলতে খেলতে প্রেম, তরুণীর টাকা-স্বর্ণ হাতিয়ে নিল দুই প্রতারক

  • Akram
  • Update Time : 08:07:56 pm, Friday, 13 December 2024
  • 26

‘ফ্রি ফায়ার’ খেলতে খেলতে প্রেম, তরুণীর টাকা-স্বর্ণ হাতিয়ে নিল দুই প্রতারক

Monzu-Info-Tech
Monzu-Info-Tech

প্রেমের অভিনয় করে ১৭ বছরের এক তরুণীকে প্রতারণার মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে তার কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ করেছে একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপার্ট থানা পুলিশ ইতোমধ্যেই দুইজনকে গ্রেফতার করেছে এবং কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ উদ্ধার করেছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা বিষয়টি নিশ্চিত করন।

উপ-পুলিশ কমিশনার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১২ ডিসেম্বর শ্রুতি রানী পাল নামে ১৭ বছরের এক তরুণী ঢাকা মেট্রোপলিটন লালবাগ থানায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অপহরণ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ আত্মসাতের ঘটনার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়টি বিস্তারিত জানার পর লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভিকটিমের পরিবারকে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে পাঠান।

পরে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে প্রতারক নাফিজুর রহমান দেড়মাস আগে অনলাইন গেম ফ্রি ফায়ার খেলার মাধ্যমে শ্রুতি রানী পালের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর সেখান থেকে শ্রুতির সঙ্গে নাফিজুরের গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ১০ ডিসেম্বর শ্রুতির কাছ থেকে ২১ ভরি ২ আনা স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় নাফিজুর। এছাড়া এর আগে নগদ ও বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে শ্রুতির কাছ থেকে আরও ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক নাফিজুর। পরে ভিকটিমর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে প্রযুক্তিগত সত্যতা পেলে লালবাগ থানা পুলিশ একটি মামলা রুজু করেন এবং সেই মামলার কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বরিশাল এয়ারপার্ট থানায় পাঠান।

যার পরিপ্রেক্ষিতে এয়ারপার্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সনজীত চন্দ্র নাথের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রহমতপুর এলাকায় গত রাতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় প্রতারক চক্রের প্রধান সদস্য ও মামলার প্রধান আসামি এয়ারপার্ট থানাধীন পশ্চিম পাংশা এলাকার মিজানুর রহমানর ছেলে নাফিজুর রহমান ও তার সহযোগী গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার রাধাগঞ্জ এলাকার শামিউল আলমের ছেলে শফিউল আলম প্রিন্সকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তাদের হেফাজত থাকা বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ১১ ভরি ১ আনা ২ রতি স্বর্ণালংকার, নগদ ৭১০ টাকা ও প্রতারণার কাজ ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

Write Your Comment

About Author Information

Akram

‘ফ্রি ফায়ার’ খেলতে খেলতে প্রেম, তরুণীর টাকা-স্বর্ণ হাতিয়ে নিল দুই প্রতারক

Update Time : 08:07:56 pm, Friday, 13 December 2024

প্রেমের অভিনয় করে ১৭ বছরের এক তরুণীকে প্রতারণার মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে তার কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ করেছে একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপার্ট থানা পুলিশ ইতোমধ্যেই দুইজনকে গ্রেফতার করেছে এবং কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ উদ্ধার করেছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা বিষয়টি নিশ্চিত করন।

উপ-পুলিশ কমিশনার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১২ ডিসেম্বর শ্রুতি রানী পাল নামে ১৭ বছরের এক তরুণী ঢাকা মেট্রোপলিটন লালবাগ থানায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অপহরণ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ আত্মসাতের ঘটনার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়টি বিস্তারিত জানার পর লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভিকটিমের পরিবারকে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে পাঠান।

পরে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে প্রতারক নাফিজুর রহমান দেড়মাস আগে অনলাইন গেম ফ্রি ফায়ার খেলার মাধ্যমে শ্রুতি রানী পালের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর সেখান থেকে শ্রুতির সঙ্গে নাফিজুরের গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ১০ ডিসেম্বর শ্রুতির কাছ থেকে ২১ ভরি ২ আনা স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় নাফিজুর। এছাড়া এর আগে নগদ ও বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে শ্রুতির কাছ থেকে আরও ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক নাফিজুর। পরে ভিকটিমর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে প্রযুক্তিগত সত্যতা পেলে লালবাগ থানা পুলিশ একটি মামলা রুজু করেন এবং সেই মামলার কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বরিশাল এয়ারপার্ট থানায় পাঠান।

যার পরিপ্রেক্ষিতে এয়ারপার্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সনজীত চন্দ্র নাথের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রহমতপুর এলাকায় গত রাতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় প্রতারক চক্রের প্রধান সদস্য ও মামলার প্রধান আসামি এয়ারপার্ট থানাধীন পশ্চিম পাংশা এলাকার মিজানুর রহমানর ছেলে নাফিজুর রহমান ও তার সহযোগী গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার রাধাগঞ্জ এলাকার শামিউল আলমের ছেলে শফিউল আলম প্রিন্সকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তাদের হেফাজত থাকা বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় ১১ ভরি ১ আনা ২ রতি স্বর্ণালংকার, নগদ ৭১০ টাকা ও প্রতারণার কাজ ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।