আওয়ামী লীগের কাছে কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় মজলিস শূরার অধিবেশনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে জাতির সব মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। অনেক প্রতিভাবান কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওএসডি করা হয়েছে, গুম, খুনের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের কাছে বিরোধীমতসহ কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি জুলুম ও ফ্যাসিজমের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বয়স্ক মানুষরাও আওয়ামী লীগের জুলুম থেকে রেহাই পাননি। জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে একটা রোডম্যাপ দিতে হবে। বিগত সরকারে আসন পুনর্বিন্যাসের নামে জুলুম করেছে। সেগুলো আবার নতুন করে করতে হবে।
ভোটার তালিকায় প্রবাসীদেরও অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা করে প্রবাসীদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গত ১৫ বছরে দেশের অনেক নাগরিকই ভোট দিতে পারেননি। অনেকেই আবার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। তাদের ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করতে হবে।
এ সময় বিভিন্ন দেশে কারারুদ্ধ বাংলাদেশিদের মুক্ত করার ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ারও আহ্বান জানান ডা. শফিকুর রহমান।
জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে এরপর তিনি বলেন, দেশ যখন ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে, তখন ফ্যাসিস্টরা দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। ফ্যাসিস্ট ও ষড়যন্ত্রকারীদের চোখ রাঙানিকে দেশের মানুষ আর পরোয়া করে না। ছাত্র-জনতার ত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। তাদের ত্যাগের মর্যাদা দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।