এবার ভারতীয় বিছানার চাদর পুড়িয়ে দেশটির পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এর আগে নিজের গায়ের শাল এবং স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নগরের ভুবন মোহন পার্কে ‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ অনুষ্ঠানে বিছানার চাদর পোড়ান তিনি।
রিজভী বলেন, চাদরটি ভারতের রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের একটি টেক্সটাইলের বেডশিট। আজকে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই বেডশিট তিনি পুড়িয়ে দিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাকি গোস্যা হয়েছে, কষ্ট পেয়েছেন। তারা বলছেন, বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা দখল করতে এলে আমরা কি ললিপপ খাব? আমি বলে রাখি আপনারা চট্টগ্রামের দিকে তাকালে তাহলে কি আমরা আমলকি চুষব?’
বিজেপি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিজেপি মুসলিম বিদ্বেষ রাজনীতি করে। এটা সবাই জানে। যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ বিজেপির মতো কথা বলে তখন বোঝা যায়, রসুনের গোড়া এক জায়গায়। ভারতের রাজনীতিবিদের গোড়াও এক জায়গায়।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে এ বিএনপি নেতা বলেন, অপতথ্য, অপপ্রচার দিয়ে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের যে ভাবমূর্তি, এখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ, এটাকে নস্যাৎ করার জন্য এটা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কারও ওপর নির্ভরশীল নয় মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ভারত মনে করেছিল আমরা বোধ হয় তাদের ওপর নির্ভরশীল। তাদের ছাড়া চলবে না। এখন তো দেখা যাচ্ছে বিষয়টা অন্য রকম। কলকাতা নিউমার্কেট বন্ধ, হাসপাতালগুলো বন্ধের উপক্রম হয়েছে। আমাদের উপহাস করবেন, বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবেন, হাজার বছরের সম্প্রীতির দেশকে কলুষিত করবেন। আপনারা নিজেরা কলঙ্কিত।
প্রসঙ্গত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী। এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার প্রমুখ।