ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৮ ডিসেম্বর রবিবার ভোররাতে কলকাতার হাতিয়াড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুই জন আওয়ামী লীগ নেতা ও দুই জন যুবলীগ নেতা রয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ইলিয়াছ আহমদ জুয়েল, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি ও সিলেট মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন।
কলকাতা, শিলং ও সিলেটের একাধিক সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলকাতা পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে আটক করে শিলং পুলিশ। রাতেই তাদেরকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে নেয়া হয়েছে।
তবে ওই সময় আওয়ামী লীগের ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের আরও কয়েকজন শীর্ষ সারির নেতা ওই ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে যান। সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফসার আজিজ ও মহানগর স্বেচ্চাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু উপস্থিত থাকলেও তারা সটকে পড়েন বলে সূত্র জানায়।
সূত্র আরও জানায়, ৫ আগস্ট বিষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। অনেকে পালিয়ে দেশ ছাড়েন। ওই সময় ভারতের শিলংয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ছয় নেতা সিলেট থেকে মেঘালয়ের শিলংয়ে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় সেখানে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ছিনতাই, চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগে স্থানীয় মেঘালয়ের ডাউকি পুলিশ থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
যদিও আওয়ামী লীগ ও অংগসংগঠনের এই চার নেতার বিরুদ্ধে প্রথমে গণধর্ষণে মামলা হয়েছে বলে প্রচার করা হলেও মেঘালয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের কোনো অভিযোগ নেই।
ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম নাদেল গণমাধ্যমকে বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র ছয় নেতার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হবে। আমরা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের মুক্তির চেষ্টা চালাচ্ছি। অথচ তাদের ইমেজ ক্ষুণ্ন করতে ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনা ছড়ানো হয়েছে।