ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১৭২ টনেরও বেশি মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। আজ সোমবার ৫ কোটি টাকারও বেশি মাছ এ বন্দর দিয়ে ভারতে গেছে। হঠাৎ মাছ রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় বন্দরের ব্যবসায়ীরাও অবাক হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা নাগাদ ২৯টি ছোট-বড় ট্রাকে করে হিমায়িত মাছ ভারতে গেছে। মাছের মোট পরিমাণ ১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৪ কেজি। অর্থাৎ ১৭২ টনেরও বেশি। প্রতি কেজি মাছ রপ্তানি হচ্ছে আড়াই ডলার, অর্থাৎ বাংলাদেশি প্রায় ৩০০ টাকা কেজি দরে। মাছের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল মিঠু এন্টারপ্রাইজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো বাবুল এন্টারপ্রাইজ।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের কয়েকটি বন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এই বন্দর দিয়ে মাছের চাহিদা বেড়ে গেছে ৮-১০ গুণ। ওপারে ভারতের সাতটি রাজ্যে বাংলাদেশের মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বন্দরের ব্যবসায়ী মো. হাসিবুল হাসান জানান, ওপারে বিভিন্ন কর্মসূচির কথা শোনা গেলেও রপ্তানিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ভারতীয়দের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যদি পণ্য পাঠানো হয়, তাহলে তারা সেটি গ্রহণ করবেন। এ অবস্থায় এখন প্রচুর মাছ যাচ্ছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মিঠু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নেসার উদ্দিন ভূইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সোমবার রেকর্ড পরিমাণ মাছ ভারতে গেছে। স্থলবন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু হওয়ার পর একদিনে এত বেশি মাছ যায়নি।
দেশের বেশ কয়েকটি বন্দর দিয়ে রপ্তানি বন্ধ থাকা ও বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন ভালো হওয়ায় অনেক বেশি মাছ ভারতে যাচ্ছে।’
আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকে মাছ রপ্তানি অনেক বেড়ে গেছে। আজও সকাল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ মাছ ভারতে গেছে। কয়েকটি বন্দরে রপ্তানি বন্ধ থাকায় এ পথে রপ্তানি বেড়েছে।’