ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর, জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির ৩ সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি শুরু করেছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাঁড়াও জনগণ’, ‘এক জাতি এক দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘ওয়াসিম-সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস নয়’, ‘বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নয়’, ‘সবার ওপরে দেশ, আমার প্রিয় বাংলাদেশ’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও ভারতবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
পদযাত্রা শুরুর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ভিসা বন্ধ করে ভারত আমাদেরই উপকার করেছে। কারণ, এখন ডলার পাচার হবে না। এর আগে অনেক টাকা চলে যেত ভারতে যেতে আসতে। সেই টাকা আর যাবে না। একইসঙ্গে তারা ভোগ্যপণ্য না দিলে আমাদের দেশের মানুষ বেশি পরিশ্রম করে ফসল উৎপন্ন করবে। এতে আমাদের রিজার্ভ বাড়বে। সবমিলিয়ে লাভ আমাদেরই হলো।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ভারতের মন ভালো নেই। কারণ তাদের সঙ্গে ভুটান-নেপাল কেউ নেই। আসলে তাদের সঙ্গে কেউ বন্ধুত্ব করতে পারে না। এখন তারা বাংলাদেশকে নিয়েও ষড়যন্ত্র করছে।
পরে যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন।
পদযাত্রা শেষে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে ভারতীয় হাইকমিশনে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।