ব্যক্তি ও দলগতভাবে আদর্শের চর্চা ও আদর্শিক সহযোদ্ধার পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে জামায়াতের প্রশংসা করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এ নিয়ে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন তিনি।
বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাটের পাঠকদের জন্য পোস্টটি নিচে তুলে ধরা হলো-
‘একই নীতি, আদর্শ, চেতনায় বিশ্বাস করা নিজ দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ‘বৃহৎ আদর্শিক পরিবারের সদস্য’ হিসেবে ওউন করা, যেকোনো ন্যায়সংগত প্রয়োজনে ও সংকটে আন্তরিকতা ও সাধ্যের সেরাটা দিয়ে পাশে থাকা, অত্যাবশ্যক রাজনৈতিক গুণ। আপনি স্বীকার করুন বা না করুন, আদর্শিক সহযোদ্ধার পাশে দাঁড়ানোর দলগত ও ব্যক্তিগত চর্চায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে জামায়াত ও তাদের নেতাকর্মীরা ঢের এগিয়ে। বহু চড়াই-উতরাই, প্রতিকূলতার মাঝেও যা তাদের টিকে থাকার অন্যতম সহায়ক শক্তি, কার্যকর টনিক।
‘দলীয় ও ব্যক্তিগত ফান্ডে নেতাকর্মীদের শিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল কোচিং ও দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সহায়তা, নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানে একচ্ছত্র অগ্রাধিকার, হতাহত ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের চিকিৎসা ও আইনগত সহায়তা, পরিবারসহ আর্থিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়াসহ এমন বহু প্রাসঙ্গিক কারণে আমাদের নেতাকর্মীরা সেখানে নিদারুণ কষ্ট ও হতাশায় ভোগে, তাদের নেতাকর্মীরা সেথা দলীয় সহায়তায় দারুণ মানসিক জোর পায়! ’৭১-এর ভূমিকাসহ বহুবিধ বিতর্ক-সমালোচনা থাকলেও তাদের আদর্শে বিশ্বাসীদের দায়িত্ব নেওয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টার জন্য তারা অনুকরণীয় প্রশংসার দাবিদার।
বর্তমান সংকটে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী শীর্ষ নেতৃত্বের শুভবুদ্ধি ও অনুধাবন শক্তি জাগ্রত হোক। দ্রুততম সময়ে ‘দলীয় ফান্ড গঠন’ ও সচ্ছল নেতাদের দক্ষিণহস্ত প্রসারের মাধ্যমে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ও অসহায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের নৈতিক প্রয়োজন ও বিপদে সার্বিক সহায়তা প্রদানের অনিন্দ্য সুন্দর কালচারটা শুরু হোক। এটা আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনের তৃণমূলের প্রতিটি নেতাকর্মীর অন্তরে লালিত একান্ত চাওয়া ও নিদারুণ প্রত্যাশা।’