একমাস পার হতে না হতেই সাজেকে পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করেনোটিশ জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার রাতে রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আইন-শৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এ সব এলাকায় পর্যটকদেও নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ৪ ডিসেম্বর সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।
তবে আইন শৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি বা পর্যটকদের নিরাপত্তহীনতা বিষয়ে নোটিশে কোনো কিছুই স্পষ্ট করা হয়নি। এমনকি এ কয়দিন পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিতকরণ নোটিশটি কার্যকর থাকবে বা পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকবে সেটাও ওই বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ নেই।
নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক দফায় পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করে নোটিশ দেয় পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনগুলো। তখন থেকেই পর্যটকরা সাজেকমুখী হতে পারেননি। রাঙামাটি জেলায় গত ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করে নোটিশ দেয় জেলা প্রশাসন। গত ৩০ অক্টোবর রাঙামাটি জেলা প্রশাসন প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটি জেলায় পর্যটক ভ্রমণ উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেয়।
অন্যদিকে, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন গত ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়ি জেলায় পর্যটক ভ্রমণ উন্মুক্ত ঘোষণা দেওয়ার পর সাজেকে পর্যটক ভ্রমণ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৮,১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর দেড় মাস পর্যন্ত সাজেকে পর্যটক ভ্রমণ বন্ধ ছিল। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে পর্যটকদের পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতে নোটিশ দেয় তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসন। এতে বিপাকে পড়েন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবি জেলা প্রশাসনের পর্যটন ভ্রমণ নিরুৎসাহিতকরণ সংক্রান্ত নোটিশকে নিষেধাজ্ঞা হিসেবে দেখা হয়। এর ফলে কেউ সাজেক ভ্রমণে আসেন না। কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা।