এক সপ্তাহও হয়নি, যখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। এর মধ্যে তিনি চুক্তি ভঙ্গ করে লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালান। এই হামলায় অন্তত ১১ জন লেবানিজ সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা নাবাতিয়েহতে এ হামলা চালানো হয়। খবর আল জাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ানের।
এদিকে হামলার কথা স্বীকার করলেও যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের দায় হিজবুল্লাহর ওপরই চাপাতে চাইছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে, হিজবুল্লাহ বলছে, ইসরায়েল প্রথমে তাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালিয়েছে, যেখানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় সতর্কবার্তা পাঠানোর উদ্দেশ্যে তারা অধিকৃত শেবা ফার্ম এলাকায় ইসরায়েলের ওয়াচ টাওয়ার লক্ষ্য করে দুটি রকেট ছুড়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, ইসরায়েলের সবশেষ হামলায় হারিসে পাঁচজন এবং তালাউশাহ গ্রামে চারজন প্রাণ হারিয়েছেন।
গত ২৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়, যা কার্যকর হয় ২৭ নভেম্বর থেকে। এ চুক্তি সম্পাদনের পর বলা হয়, লেবাননের হিজবুল্লাহসহ দেশটির অন্যান্য সংগঠনের হামলা থেকে ইসরায়েল নিরাপদ থাকবে। চুক্তি অনুসারে, লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরিয়ে নিতে ৬০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
কিন্তু যুদ্ধবিরতি চুক্তির এক সপ্তাহ না যেতেই ফের হামলা হলো লেবাননে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী ফ্রান্স। ইসরায়েল তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ৫২বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে তাদের মিত্র দেশটি। আরেক মিত্র রাষ্ট্র এবং আরেক মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি।
অন্যদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের দায় হিজবুল্লাহর ওপর চাপিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, হিজবুল্লাহকে কঠিন জবাব দেবে তার বাহিনী।